তখনও ফণী আছাড় মারেনি ওড়িশায়। খুব কাছে পৌঁছেছিল। ফণী আতঙ্কে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছিলেন ওড়িশায় বহু মানুষ। আর ঠিক তখনই নিশ্চিন্ত নিদ্রা থেকে চমকে উঠে পড়েন ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষজন। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলা সহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৪টে ৩২ মিনিট। তখনও ভোর হয়নি বললেই চলে। সে সময়ে এমন আতঙ্কের কম্পনে হুড়মুড়িয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সকলে।
যদিও খাতায় কলমে কম্পনের মাত্রা তেমন কিছু নয়। রিখটার স্কেলে ৪.২। যাকে মৃদু কম্পন বলেই মনে করা হয়। তবু ভূমিকম্প সবসময়েই আতঙ্কের জন্ম দেয়। মান্ডির মানুষেরও গভীর ঘুম ভাঙিয়ে সেই আতঙ্কই এদিন এনে দিল এই কম্পন। যদিও এটা প্রথম নয়, এর আগেও হিমাচল হালফিল বেশ কয়েকবার কেঁপেছে। তবে প্রতিবারই কম্পনের মাত্রা ছিল কম।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডি অঞ্চল। এদিন কম্পনের পর বেশ কিছুক্ষণ আতঙ্ক বজায় ছিল। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। সকালে ফের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে আসেন এখানকার মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা