রবিবারের সকাল। ছুটির সকাল একটু দেরিতেই হয়। অবশ্য গরমের দিনে বিছানা একটু আগেই ছাড়েন মানুষজন। তেমনই হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমভাগের জেলাগুলিতেও। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১০টা ৩৯ মিনিট। সবে গতি পেয়েছে কাজকর্ম। অনেকে বাজারে। অনেকে তখন বাড়ির অন্য কাজে ব্যস্ত। কেউ নিছক আড্ডায়। এমন সময় কেঁপে ওঠে মাটি। কারও বুঝতে অসুবিধে হয়নি কি হচ্ছে। ভূমিকম্পের কম্পন বুঝতে পেরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছুটি ওঠে লাটে। সকলে তখন বাড়ি ছেড়ে সকলকে নিয়ে রাস্তায় বার হতে ব্যস্ত।
রবিবার বেলায় বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া সহ আশপাশে যে কম্পন অনুভূত হয় রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। খাতায় কলমে খুব বড় ধরণের কম্পন না হলেও ভূমিকম্প সবসময়েই আতঙ্কের। অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে শাঁখ বাজাতে থাকেন। পুরনো রীতি মেনে চলে শঙ্খের আওয়াজ। অনেক আবার আফটার শকের ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তায়। এদিনের কম্পনে আতঙ্ক ছড়ালেও হতাহতের কোনও খবর নেই। কম্পনের উৎসস্থল ছিল বাঁকুড়ায় মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। দীর্ঘক্ষণ কম্পনের আতঙ্ক তড়া করার পর দুপুরের দিকে অবস্থা ফের স্বাভাবিক হয়।