বুধবার সকাল তখন ৮টা ৪০ মিনিট। জম্মু কাশ্মীর কাজের দিনে ক্রমশ ব্যস্ত হতে শুরু করেছে। আচমকাই কেঁপে ওঠে মাটি। মানুষজনের বুঝতে অসুবিধা হয়নি কী হচ্ছে। ভূমিকম্পের জেরে সময় নষ্ট না করে দ্রুত সকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপত্যকা জুড়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩। যা মধ্যমাত্রার কম্পন বলেই পরিচিত। ফলে কম্পন অনুভূতও হয়েছে। আতঙ্কও সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে কম্পন জম্মু কাশ্মীরে রীতিমত উপলব্ধি হলেও তার উৎসস্থল ছিল পাকিস্তানে। মাটির ১ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্র। কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়ালেও কোনও হতাহতের খবর নেই। সম্পত্তি নষ্টের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে আফটার শকের একটা সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে অনেকেই বেলা পর্যন্ত সতর্ক ছিলেন। ক্রমে দুপুর থেকে জনজীবন স্বাভাবিক হয়।
কাশ্মীর এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের আওতায় পড়ে। ফলে কাশ্মীরে মাঝেমধ্যেই কম্পন অনুভূত হয়। ২০০৫ সালে কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর মিলিয়ে এক ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়। যা ৮০ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর হওয়া সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা