মঙ্গলবার বিকেলে থরথর করে কেঁপে উঠল ভারতের রাজধানী সহ উত্তর ভারতের একটা বড় অংশ। যারমধ্যে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা সহ আশপাশের রাজ্যগুলি রয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। মাঝারি মাত্রার কম্পন। কম্পন অনুভূত হতেই অনেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। অফিস, দোকান থেকেও মানুষ বেরিয়ে আসেন খোলা জায়গায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুধু দিল্লি বলেই নয়, লখনউ সহ অনেক শহরেই কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত হয় গ্রাম-শহর সর্বত্রই।
কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে। নেপালের খাপতাদ ন্যাশনাল পার্কে ছিল কম্পনের কেন্দ্র। কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটির মাত্র ১.৩ কিলোমিটার নিচে। নেপালে মাটি কাঁপলে সেখানকার মানুষ সিঁদুরে মেঘ দেখে আতঙ্কিত হন। কারণ ২০১৫-র পর তাঁদের যে আতঙ্ক পেয়ে বসেছে তাতে তাঁদের ঘর পোড়া গরুর মতই পরিস্থিতি। ২০১৫ সালের সেই ভূমিকম্পে ৯ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ধ্বংস হয়ে যায় নেপালের বহু স্থাপত্যকীর্তি, গ্রাম, শহর।
দিল্লি এমনিতেই দূষণ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। দূষণের জেরে জেরবার দিল্লিতে এদিন বিকেলে নয়া আতঙ্কের জন্ম দেয় ভূমিকম্প। অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন আফটার শকের। অনেকে খোলা জায়গা থেকে যেতে চাননি সন্ধের পরও। উত্তর ভারত জুড়েই পরিস্থিতি ছিল কম বেশি একই রকম। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মুখে চোখে আতঙ্কের ছাপ। তবে কম্পনের জেরে এখনও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।