পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত ধরে কাশ্মীরে নিয়মিত তুষারপাত হচ্ছে। সাদা হয়ে গেছে কাশ্মীর। একইসঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায়। পাহাড়, উপত্যকা সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। প্রকৃতি মোহময় হয়ে উঠেছে। ফলে পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন এসব জায়গায়। সেই হিমাচলের ছবির মত সুন্দর কাঙরা উপত্যকা এদিন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল।
কম্পন অনুভূত হয় বেলা ১০টা ৫১ মিনিটে। খুব সামান্য সময়ের জন্যই স্থায়ী হয়। কম্পনের মাত্রাও রিখটার স্কেলে খুব বেশি ছিলনা। কম্পনের মাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩। ফলে তা মৃদু ভূমিকম্পের তালিকাতেই পড়ে। তবে কম্পন সবসময়েই আতঙ্কের। ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। তখন সকলে কাজেও ব্যস্ত ছিলেন। কম্পন অনুভূত হতে অনেকেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
মৃদু কম্পনে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকেনা। এদিনও কোনও হতাহতের খবর নেই। এদিন কাঙরা উপত্যকা অল্পের ওপর ধাক্কা সামলে নিয়েছে ঠিকই তবে এই কাঙরা উপত্যকাতেই ১৯০৫ সালে এক ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল। যে ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছিল ২০ হাজার মানুষের প্রাণ। কাঙরায় এখন যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা সেই ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার না হলেও তাঁদের অভিভাবকদের কাছে সে কাহিনি শুনেছেন। তাই এখানে কম্পন মানেই আতঙ্ক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা