রবিবার ছুটির দিন। ফলে ভোরে যাঁরা ওঠেনও তাঁরাও একটা আলসে আমেজে তখনও ঘুমের দেশে। ঘড়ির কাঁটায় ভোর ৫টা ১২ মিনিট। এই সময় নাগাল্যান্ডের ওখা অঞ্চল কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। অবশ্য কম্পনের মাত্রা যে খুব বেশি ছিল তা নয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৪। মৃদু কম্পন হিসাবেই ধরা হয় এই মাত্রাকে। কিন্তু আতঙ্কটা যেখানে তা হল ভারতের পূর্বপ্রান্ত এমন এলাকা যা বিশ্বের ষষ্ঠ কম্পন প্রবণ এলাকা।
নাগাল্যান্ডে কম্পনের জেরে সাময়িক আতঙ্ক তৈরি হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এদিকে নাগাল্যান্ডে কম্পনের পরই ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ফের কম্পন অনুভূত হয়। এবার মাটি কাঁপে অসমে। অসমের তেজপুর এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। মাত্রা ছিল ২.৮। এটাও মৃদু কম্পন। কিন্তু চলতি মাসে যেভাবে মাঝেমধ্যেই ভারতের উত্তরপূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলি কেঁপে উঠেছে তাতে এদিন ভোরের মৃদু কম্পনও আতঙ্কের জন্ম দেয়।
অসম ও নাগাল্যান্ডে ২টি কম্পনের বাইরে অবশ্য এদিন আর কোথাও কম্পন অনুভূত হয়নি। তবে ভারতের বাইরেও এদিনে কম্পন প্রভাব ফেলে। মায়ানমার ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে সাময়িক একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রবিবারের ছুটিও মাটি করেনি। প্রসঙ্গত ১৯৫০ সালে অসমে ৮.৭ মাত্রার যে কম্পন হয়েছিল তা ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে দিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা