পশ্চিমবঙ্গের পাশেই কেঁপে উঠল মাটি
পশ্চিমবঙ্গের পাশেই এবার কেঁপে উঠল মাটি। হল ভূমিকম্প। যা এ রাজ্যের মানুষকে কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলল।
ভুবনেশ্বর : পশ্চিমবঙ্গের আশপাশে মাটি কেঁপে উঠলে রাজ্যবাসীর বুক কেঁপে ওঠে। আর সেটা হয়তো স্বাভাবিকও। পাশেই যখন হয়েছে তখন এখানেও হতে পারে এমন আশঙ্কা কাজ করেই থাকে। যদিও শনিবার সকালে যে কম্পন হল তাতে পশ্চিমবঙ্গের গায়ে তেমন আঁচ পড়েনি। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কেঁপে ওঠে ওড়িশার মাটি। ওড়িশার গঞ্জাম ও গজপতি জেলায় কম্পন সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে। এই ২টি জেলায় সকালেই কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়ায়।
ওড়িশায় কম্পন হলেও কম্পনের মাত্রা ছিল কম। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ধরা পড়েছে ৩.৮। যা মাঝারি মাপের কম্পনের স্তরেই পড়ে। বেরহামপুরের ৭৩ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। আর উদয়গিরি এলাকায় ছিল কম্পনের কেন্দ্র। যা পরিভেতা ও তান্ডিগুডার মাঝে অবস্থিত। যেহেতু এলাকাগুলি গজপতি জেলায় তাই সেখানে কম্পন অনুভূত হয়েছে যথেষ্ট।
সকালে তখনও সবাই কাজের ছন্দে আসেননি। সেই সময় আচমকা কম্পনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। তবে কম্পনের জেরে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। মানুষেরও হতাহতের খবর নেই। সাধারণত ৩.৮ মাত্রার কম্পন বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনে না। কিন্তু এর অনুভূতি মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ সময় ফাঁকা এলাকায় কাটান। অনেকের মনে আফটার শকের একটা ভীতিও কাজ করে।
ওড়িশার অনেক জায়গায় এদিনের কম্পনের প্রভাব পড়ে। পাত্রপুর, চিকিতি, দিগাপহান্ডি, মোহনা সহ নানা জায়গায় কম্পন মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ভারতে এখন কম্পনের হটস্পটে পরিণত হয়েছে দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকা। এপ্রিল, মে ও জুনে সেখানে পরপর কম্পন অনুভূত হয়। ফলে দিল্লিতে ভূমিকম্পের চর্চা হচ্ছিল যথেষ্ট। তারপর উত্তর পূর্বের রাজ্যে কম্পন, বিশেষত মিজোরামে কম্পন নতুন চিন্তার কারণ হয়। সেখানে পরপর ভূমিকম্প হয়। এবার আবার ওড়িশার মাটিও কেঁপে উঠল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা