ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু কাশ্মীর
ভূমিকম্পের কবলে জম্মু কাশ্মীর। মাটি কেঁপে ওঠায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায় সেখানে।
শ্রীনগর : তখন রাত ১টা ৫৩ মিনিট। শুক্রবারের ভোরের আলো ফুটতে তখনও ঢের দেরি। মধ্যরাতের গাঢ় ঘুমে উপত্যকা তখন শান্ত। কিন্তু সেই শান্তির ঘুম কেড়ে নিল মাটির কেঁপে ওঠা। ভূমিকম্প হচ্ছে এটা বুঝতে পেরে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে তড়িঘড়ি রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। তবে কম্পনের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা।
কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ধরা পড়ে ৪.৩। যাকে মাঝারি কম্পন হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে। এই মাত্রার কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে। প্রসঙ্গত কাশ্মীর কিন্তু প্রবলভাবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে এখানে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা সবসময় থেকে যায়।
এদিন মধ্যরাতে কম্পন অনুভূত হলেও অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই। এদিন ভারতের দিকে যেমন কম্পন অনুভূত হয়েছে তেমনই পাকিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানের দিকেও মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় এই কম্পন।
জম্মু কাশ্মীর এর আগেও ভয়ংকর ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে। অনেকের কাছে সেই ভয়ংকর স্মৃতি এখনও তাজা। ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর উপত্যকায় প্রবল কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। সেই কম্পনে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। মৃত্যু হয় ৮০ হাজার মানুষের। অবশ্য এই মৃতের সংখ্যা ভারত ও পাকিস্তান মিলিয়ে হয়। এখনও তাই মাটি কাঁপলে কাশ্মীরের মানুষের বুক কাঁপে।
গত এপ্রিল, মে, জুন মাসে পরপর ভূমিকম্পের শিকার হয় দিল্লি। যা দিল্লি সহ আশপাশের এলাকা নাড়িয়ে দিয়েছিল। আতঙ্কও ছড়িয়েছিল। করোনার জন্য লকডাউন চলাকালীনই কম্পনের জেরে লকডাউন উপেক্ষা করেই দিল্লির অনেক মানুষ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আতঙ্কে। আফটার শকের ভয়ে দীর্ঘ সময় রাস্তায় কাটানও। তবে পরপর কম্পন আতঙ্ক ছড়ালেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সে সময় জম্মু কাশ্মীরও সেই কম্পনের জেরে অল্প কেঁপেছে। তবে তা উল্লেখযোগ্য ছিলনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা