বারবার কেঁপে উঠছে মাটি, প্রাণ বাঁচাতে সর্বস্ব ফেলে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা
সময় নেই, অসময় নেই, থরথর করে কেঁপে উঠছে মাটি। তাই প্রাণ বাঁচাতে সর্বস্ব ফেলে পালাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। বুধবারই অর্ধেক গ্রাম ফাঁকা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার প্রহরে প্রহরে কেঁপে উঠেছে মাটি। থরথর কেঁপে ওঠা মাটি আতঙ্কের জন্ম দেয় গ্রামবাসীদের মনে। যতবার মাটি কেঁপেছে ততবার ভয়ে গ্রামবাসীরা মাঠে বেরিয়ে এসেছেন।
পরে তা থামলে যদিও বা একটু সাহস করে ঘরে ঢুকেছেন তো ফের কেঁপেছে মাটি। ফের ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন তাঁরা।
এই খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছন কর্ণাটকের বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া। সেখান থেকেই তিনি ফোন করেন কর্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রীকে।
গ্রামবাসীরা যেহেতু আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া শুরু করেছেন, তাই তাঁদের থাকার জন্য অবিলম্বে শিবির তৈরির পরামর্শ দেন সিদ্ধারামাইয়া। কাজও হয়। রাতারাতি গ্রামবাসীদের থাকার ব্যবস্থা হয় অন্যত্র।
বুধবার সকাল থেকে গোটা গ্রামে পালাই পালাই অবস্থা। প্রায় সব পরিবারই যেটুকু সহায় সম্বল তা নিয়ে গ্রাম ছাড়তে থাকেন। এভাবে প্রায় অর্ধেক গ্রামই ফাঁকা হয়ে যায়।
দুপুরের মধ্যেই ৫০ শতাংশের ওপর মানুষ গ্রাম ছেড়েছেন। যাঁরা নেহাতই গ্রাম ছাড়ার সাহস দেখাতে পারেননি তাঁরা ফাঁকা মাঠে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু কেন কাঁপছে মাটি?
ভূবিজ্ঞানীরা বুধবার পুরো জায়গা ঘুরে দেখার পর জানিয়েছেন এখানে এটা নতুন কিছু নয়। ভূতলের স্তরের নাড়াচাড়ায় এটা হয় বর্ষা ও শীতের সময়। তবে এই কম্পন থেকে বড় কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
এ থেকে যে ভয় নেই তা বোঝাতে ভূবিজ্ঞানী বিজয়া জ্যোৎস্না সব গ্রামবাসীকে গ্রামে ফেরার আর্জি জানিয়ে এটাও জানিয়েছেন যে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই গ্রামেই কিছুদিন কাটাবেন। এটা বোঝানোর জন্য যে ভূকম্পন হলেও তা থেকে মানুষের ক্ষতি হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা