ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলা
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলা। শুক্রবার ভোরে কেঁপে ওঠে তিলোত্তমাও। এদিন পুরো উত্তর পূর্ব ভারতই প্রায় ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় বিভিন্ন এলাকায়।
তখন ভোর সওয়া ৫টা। অগ্রহায়ণ মাসের সকাল। ফলে শীতের প্রভাব স্পষ্ট। ভোরের আলো ফুটতেও বেশ সময় লাগছে। ফলে সওয়া ৫টা প্রায় অন্ধকার। চাপাচুপি দিয়ে ঘুমে মগ্ন অধিকাংশ মানুষ। ঠিক তখনই কেঁপে ওঠে কলকাতা। অনেকেই সেই কম্পন অনুভব করেছেন।
এদিন ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে মাটি কেঁপে ওঠে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১, যা শক্তিশালী ভূমিকম্পের তালিকায় পড়ে। মাটির ৩৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ১৮৩ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।
এদিন প্রথম কম্পন সওয়া ৫টায় অনুভূত হওয়ার পর মিজোরাম, মণিপুর, অসম বা ত্রিপুরায় অনেকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসার পর আতঙ্ক তখনও কাটেনি। তার আগেই ফের কেঁপে ওঠে জমি।
আফটার শক অনুভূত হয়। ৫টা ৫৩ মিনিটে ফের কেঁপে ওঠে মাটি। এখনই কোনও হতাহতের খবর নেই। খবর নেই বড় ধরনের সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির।
এদিন উত্তরপূর্ব ভারত জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়। মিজোরামের মানুষজনের দাবি, এতটা দীর্ঘ ভূমিকম্প এর আগে তাঁরা কখনও অনুভব করেননি।
প্রসঙ্গত ভারত মায়ানমার সীমান্ত অত্যন্ত কম্পন প্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত। এখানে কম্পন বড় আকার নিতে পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল অসমে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। এদিনের থেকেও অসমের সেই কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে বেশি ধরা পড়েছিল। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা