বিকেলে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা
শুক্রবার বিকেল। ঘড়িতে ৩টে ৪২ মিনিট। থরথর করে কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। আতঙ্ক ছড়াতে সময় নেয়নি। অনেকেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
গত কয়েকদিনে অসম, মণিপুর, মিজোরাম সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে একাধিকবার। এবার সেই কম্পনের ধাক্কা পশ্চিমবঙ্গকেও রেহাই দিল না। তবে কম্পনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। কেঁপেছে মালদাও। কম্পন অনুভূত হতেই ব্যস্ত সময়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অনেকে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিজোরামের চম্পাই থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে ভারত মায়ানমার সীমান্তে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটির ৬০ কিলোমিটার গভীরে।
এদিন ভারতের উত্তরপূর্বের সব রাজ্যেই কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬, যাকে মধ্য মাত্রার কম্পন হিসাবেই ধরা হয়। তবে এতে তীব্রতা যথেষ্টই অনুভূত হয়। ক্ষয়ক্ষতিরও সম্ভাবনা থাকে।
এদিন শুধু ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা বা উত্তরবঙ্গেই কম্পন অনুভূত হয়নি, কেঁপেছে বাংলাদেশের বিশাল অঞ্চলও।
বাংলাদেশের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। এদিকে কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়ানো বা মানুষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা ছাড়া এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
ভারত মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ বলেই পরিচিত। তালিকা মত বিশ্বের ষষ্ঠ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা এটি। এখানে গত কয়েকদিনে বারবার কম্পন অনুভূত হচ্ছে। তবে প্রতিবার মাঝারি তীব্রতার কম্পনই হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা