বহুতলের ছাদ থেকে ঝরছে বিশাল জলরাশি, ভাঙল বাড়ি, ব্রিজ, কাঁপল কলকাতাও
একটি বহুতলের ছাদে থাকা সুইমিং পুলের জল ঝরে পড়ছে রাস্তায়। একের পর এক বাড়ি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল। ভাঙল ব্রিজ। কত মানুষ বিপন্ন বোঝা যাচ্ছেনা।

এক ভয়ংকর ভূমিকম্পের শিকার হল মায়ানমার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। যা তীব্র কম্পন হিসাবে ধরা হয়। একের পর এক শহর বিপন্ন। প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ইরাবতী নদীর ওপর থাকা আভা ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।
বিভিন্ন শহরে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন। মান্দালয় থেকে রাজধানী নেপিডো এবং এমন অনেকগুলি শহরের অবস্থা বেহাল। কম্পন শুরু হতেই বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কে ছুটতে থাকেন।
মায়ানমার সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। হতাহতের হিসাব এখনও পরিস্কার নয়। মায়ানমারে ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলার পাশাপাশি ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে চিন থেকে থাইল্যান্ড। সেখানেও নানা জায়গা থেকে তীব্র কম্পনের খবর এসেছে। সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরিস্কার নয়।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরে আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একটি নির্মীয়মাণ বহুতল তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ব্যাংককে। ব্যাংকক শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। চিনের ইউনান প্রদেশে আবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৯, অর্থাৎ মায়ানমারের চেয়েও বেশি। ভূমিকম্পে কেঁপেছে লাওসও।
এই কম্পনের রেশ এসে পড়েছে কলকাতাতেও। শহর কলকাতায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা সহ নানা জায়গায়। তবে কলকাতা বা ঢাকা, কোথাওই কম্পন ধ্বংসাত্মক ছিলনা। কম্পনের মাত্রা ছিল মৃদু।
মায়ানমারের সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ছিল এই কম্পনের কেন্দ্র। মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে ছিল উৎসস্থল। মায়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমার ও থাইল্যান্ডকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা