আইলিগ জয়ের আশা প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে নিজেদের ঘুরিয়ে দাঁড় করাল ইস্টবেঙ্গল। এখনও তাদের সামনে আইলিগ জয়ের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ছিল ডু অর ডাই ম্যাচ। হারলে এ বারের মত খেতাব জয়ের স্বপ্ন শেষ। জিতলে জিইয়ে থাকবে আশা। এমনই চাপে ম্যাচে খেলতে নেমে লালহলুদ এদিন ভেল্কি দেখাল। ফর্মে থাকা চেন্নাই এফসিকে ৯০ মিনিটে কোনও সময়ে খেলার সুযোগই দিলনা তারা। গোলের মালা পরিয়ে চেন্নাইকে ফেরত পাঠাল ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার যুবভারতীতে প্রথম থেকেই চেন্নাইকে চেপে ধরে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথম মেহমুদ আল আমনার করা গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এর ঠিক ৩ মিনিট পর বল বাঁচাতে গিয়ে নিজের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন চেন্নাইয়ের ধর্মরাজ রাভানন। ৩২ মিনিটের মাথায় ফের গোল। ডুডুর পা থেকে আসে গোল। ১২ মিনিটের মধ্যে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এখানেই পরিস্কার হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত নয়, ৩২ মিনিটের পরই মোটামুটি লালহলুদ সমর্থকেরা পরিস্কার হয়ে যান যে দিনটা তাঁদের। এই ম্যাচ তাঁদের।
প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেও একই দাপট বজায় রাখে। ৪৯ মিনিটের মাথায় আসে চতুর্থ গোল। এবারও সেই ডুডু। এর ঠিক ৭ মিনিট পর ফের গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। গোলকর্তা আর কেউ নন সেই ডুডু। এই গোল করার পর হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এর ঠিক ৩ মিনিট পর চেন্নাই কাউন্টার আক্রমণে একটি গোল শোধ করে। চেন্নাইয়ের হয়ে গোল করেন থঙ্গলাকাথ। ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-১। কিন্তু পিকচার তখনও বাকি ছিল। এর ২ মিনিট পর ৬১ মিনিটের মাথায় ফের গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। আবার সেই ডুডু। এদিন ৪ গোল আসে তাঁর পা থেকেই। তারপর অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ গোলের দেখা না মিললেও ৮৪ মিনিটের মাথায় ফের গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। এবার গোল করেন ফার্নান্ডেজ। ৭-১ দাঁড়ায় ব্যবধান। যা খেলা শেষের হুইসল বাজা পর্যন্ত বজায় ছিল। এই জয়ের পর লিগ টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।