প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর এদিন পুরো পয়েন্ট ঘরে তোলাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গানের কাছে। অ্যাওয়ে ম্যাচের চাপও ছিল। আশার কথা একটাই। প্রতিপক্ষ দল সবে দু’বছর হল আইলিগ খেলছে। ফলে অভিজ্ঞতা আর নামের ভারে অনেকটাই এগিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু সমর্থন? অ্যাওয়ে ম্যাচ যখন, তখন দর্শক তো শিবাজিয়ান্সের হয়েই গলা ফাটাবে। সেটা একটা বাড়তি পাওয়া শিবাজিয়ান্সদের জন্য। কিন্তু পুনের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে উলট পুরাণ! শুরু থেকেই মাঠ জুড়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভিড়, উল্লাস। শিবাজিয়ান্সের ঘরের মাঠে তাদেরই সমর্থক দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে! এদিন প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন হাইতির স্ট্রাইকার ওয়েডসন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে এক গোলে পিছিয়ে থেকে খোঁচা খাওয়া বাঘের মত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাতে থাকে ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের ছেলেরা। কাজও হয়। গৌরমাঙ্গি সিংয়ের দুরন্ত গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর খেলায় তেমন কোনও টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যখন প্রায় ধরে নেওয়া হচ্ছিল খেলা ড্র, ঠিক তখনই ম্যাজিক দেখালেন উইলিস প্লাজা। খেলা শেষের মিনিট দশেক আগে তাঁর গোলে ২-১-এ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এদিনের জয়ের ফলে ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলে কিছুটা স্বস্তিতে ট্রেভর মর্গান। ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ গোয়ায় চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে।