উত্তেজনার পারদ চড়ছিল দিন দুয়েক আগে থেকেই। গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে শিলিগুড়ি পাড়ি দিয়েছিলেন দুই দলেরই হাজার হাজার সমর্থক। ইচ্ছে ছিল ইলিশ-চিংড়ি লড়াইয়ের পুরানো উত্তাপটা গ্যালারিতে বসেই হাতেগরম উপভোগ করবেন। সকাল থেকে রাজ্যের দক্ষিণ থেকে উত্তর, সর্বত্রই কোমর কষছিলেন নৌকা-মশালের অনুরাগীরা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে চলছিল একে অপরকে হুংকার। কিন্তু যা ঘিরে এতকিছু, সেই খেলা শুরু হতেই উত্তেজনার বেলুন ক্রমশ চুপসে যেতে শুরু করল। নিরুত্তাপ খেলায় আক্রমণ প্রতি আক্রমণের তেজও তেমন একটা নজর কাড়ল না। বরং গা বাঁচানোর লড়াইয়ে কোনও ঝুঁকির রাস্তায় না হেঁটে দু দলই যেন ৯০ মিনিট শেষ করার জন্য নিজেদের মধ্যে বল লাথালাথি করে গেলেন। নামীদামী খেলোয়াড়দের নিয়ে যাবতীয় চর্চা এদিন মাঠে কার্যত জলে গেল। পেশাদার মনোভাবে খেলতে গিয়ে দু দলই ভুলে গেল বছরের এই দিনটার জন্য কত সহস্র মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন। কত মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে জার্সিগুলো ঘিরে। বাঙালির ভালবাসার ফুটবলটাকে এই দুটো নাম বাঁচিয়ে রেখেছে চিরন্তন করে। সেই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল এদিন যে ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা শিলিগুড়ির মাঠে খেলল তা দেখে শুধু দর্শকরাই নন, প্রাক্তন খেলোয়াড়েরাও চরম হতাশ। সমর্থকরা বুঝে উঠতে পারলেন না এদের জন্য গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে তাঁরা রক থেকে চায়ের দোকান, ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কেন এত কোমর কষলেন!