আকাশে মেঘের আনাগোনা। ফলে কিছুটা চিন্তা তো রয়েছেই। ভোরের দিকে আবার টিপটিপ বৃষ্টিও হয়েছে। নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার জন্য তৈরি। ওড়িশাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফলে তার কিছুটা ধাক্কা তো দক্ষিণবঙ্গকে সামলাতেই হবে। ফলে বৃষ্টির একটা আশঙ্কা থাকছেই। তারমধ্যেই মাঠে নামতে তৈরি সবুজমেরুন ও লালহলুদ শিবির। সেই চিরকালীন লড়াই। যে লড়াইকে ঘিরে কিছুক্ষণের জন্য ২ ভাগে ভাগ হয়ে যায় বাঙালি। সে ঘটি বনাম বাঙালই বলা হোক বা ইলিশ বনাম চিংড়ি। অথবা পাল তোলা নৌকা বনাম মশাল। মাঠের লড়াইয়ের অনেক আগেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। এ উন্মাদনা বংশ পরম্পরায় বাঙালি বহন করে চলেছে। কিন্তু উৎসাহে ভাটা নেই!
মোহন শিবিরের বড় ধাক্কা সনি নর্ডির ছিটকে যাওয়া। সনি থাকলে তাদের মনোবল যেমন বাড়ত, তেমনই প্রতিপক্ষের জন্য চাপ তৈরি হত। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল পুরো দল নিয়ে নামছে। গত ৭টি ডার্বিতে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে এবার তারাও মরিয়া। তাতে লিগ টেবিলেও কিছুটা ওপরে ওঠা হবে। মোহনবাগান চাইছে আবার এই ম্যাচ জিতে নিয়ে লিগে আরও শক্তপোক্ত জায়গায় পৌঁছে যেতে। তবে এসব হিসেব নিকেশের বাইরে এদিন মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে যে জিতবে তার সমর্থকদের কাছে সেটাই লিগ জয়ের সমান।