লড়াইটা চিরন্তন। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল বাঙালির জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ফুটবলের খবর কারও কাছে থাকুক না থাকুক, মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলে কে জিতল তার খবর ঠিক নেয় বাঙালি। যে যে দলকে সমর্থন করেন তার জয়ে কেউ খোলাখুলি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কেউ মনে মনে খুশি হন। কেউ হারে কষ্ট পান। চিংড়ি বনাম ইলিশের এই লড়াইয়ে এবার বছরের প্রথম ডার্বিটা কিন্তু জিতল সবুজ মেরুন। ২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান। সেইসঙ্গে আইলিগে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানও ধরে রাখল।
এবার আইলিগে প্রথম থেকেই মোহনবাগান ছন্দে রয়েছে। তুলনায় ইস্টবেঙ্গল গত ম্যাচে গোকুলামের কাছে হেরে মানসিক দিক থেকে কিছুটা চাপে ছিল। পরের ম্যাচেই ডার্বিও হারতে হল তাদের। রবিবার শুরু থেকেই চাপ তৈরি করতে শুরু করে মোহনবাগান। ১৮ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের জোসেবা বেইতিয়া হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। ১ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গ্যালারি তখন ফেটে পড়ছে উচ্ছ্বাসে। প্রথমার্ধ শেষ হয় মোহনবাগানের ১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরানোর লড়াই শুরু করলেও ৬৫ মিনিটের মাথায় গোল পায় মোহনবাগানই। বেইতিয়ার কর্নার থেকে ভাসানো বল হেডে জালে জড়ান সেনেগালের বাবা দেওয়ারা। মোহনবাগান ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৬৫ মিনিট খেলা হয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান ২-০-তে এগিয়ে যাওয়ার পর অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু ৬ মিনিটের মধ্যেই খেলায় ফের প্রাণ ফেরে। লালরিনডিকার পাস থেকে সমতা ফেরান মার্কোস এসপাদা। ফলে সমতা ফেরার একটা সম্ভাবনা দেখতে পান লাল হলুদ সমর্থকেরা। সে সুযোগ হাতে এসেও ফস্কায়। মিডিয়ো জুয়ানের শট মোহন গোলপোস্টে লেগে ফেরত আসে। আর এটাই বোধহয় ছিল হারের ইঙ্গিত। শেষ বাঁশি যখন বাজে তখন খেলার ফল মোহনবাগান ২, ইস্টবেঙ্গল ১। ডার্বি জয়ের পর আইলিগ জয়ের আশা আরও উজ্জ্বল হয় সবে এটিকে-র সঙ্গে মেশা মোহনবাগানের।