টানা ৭ বার ডার্বির রং সবুজ মেরুন, ইস্টবেঙ্গলকে ২ গোলে হারাল মোহনবাগান
ফের ডার্বির রং সবুজ মেরুন। ফের এটিকে মোহনবাগানের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে টানা ৭ বার ডার্বি জিতল মোহনবাগান।
আদি অনন্ত লড়াইয়ে ফের জয় পেল মোহনবাগান। এই নিয়ে টানা ৭ বারা ইস্টবেঙ্গলকে হারাল তারা। শনিবার আইএসএল-এর প্রথম মুখোমুখিতে মোহনবাগান ২-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল হলুদকে।
ম্যাচের ২টি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। তাও আবার খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে লিগ তালিকাতেও আরও ভাল জায়গায় পৌঁছে গেল মোহনবাগান। অন্যদিকে এদিন হেরে ইস্টবেঙ্গল আরও কিছুটা নিচে নামল তালিকার।
ম্যাচের সেরা হয়ে রইলেন হুগো বুমো। মোহনবাগানের হয়ে এদিন তিনিই জয়ের কারিগর সন্দেহ নেই। তবে মোহনবাগান যাঁর ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছিল সেই পেট্রাটোসকে এদিন কিন্তু খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিনের ডার্বিতেও বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। একদিকে ছিল মোহনবাগান সমর্থকদের ভিড়। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা এদিন অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন হয়তো টানা ৬টা ডার্বি হারের প্রতিশোধ তাঁদের দল নিতে পারবে। কিন্তু সে আশা এদিনও অপূর্ণই রয়ে গেল।
২ সমর্থক ভিত্তিক দলের মোহনবাগান সমর্থকেরা এদিন খেলার শেষে যেমন উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তেমনই ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়ল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে। অনেকেই চোখে জল নিয়ে থমথমে মুখে বাড়িমুখো হলেন ভারাক্রান্ত মনে।
এদিন খেলার শুরু থেকে কিন্তু ২টি দলই বেশ ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলকে এদিন আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে যেতে দেখা গেছে।
প্রথমার্ধে ২ দলের খেলাই ছিল দেখার মত। প্রায় সমান সমান মনে হচ্ছিল ২টি দলকে। যা কলকাতা ডার্বির স্বাভাবিক চিত্র হওয়া উচিত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা বদলায়।
মোহনবাগান আরও সুসংগঠিত ভাবে সামনে আসে। ৫৬ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোর একটা জোড়াল শট সেভ করতে ঝাঁপান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিৎ সিং। কিন্তু বল রুখতে গিয়ে তা তাঁর হাতে লেগে জালে জড়ায়।
এক্ষেত্রে মোহনবাগান এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। তবে গোলটা বাঁচানো যে যেত তা মেনে নিচ্ছেন সব ফুটবল বিশেষজ্ঞই। ১ গোলে এগিয়ে মোহন শিবিরের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।
খেলার ৬৫ মিনিটের মাথায় ফের মনবীরের গোলপোস্টের ডানদিক থেকে জোড়াল শট লাল হলুদ গোলকিপার কমলজিতের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। যা তাদের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেয়।
এদিন ২টি গোলই হয়তো বাঁচাতে পারতেন কমলজিৎ। সেক্ষেত্রে কমলজিতের দুর্বলতা ধরা পড়েছে। অন্যদিকে মোহনবাগানের পজিটিভ ফুটবল কিন্তু মোহনবাগানকে এদিন জয় এনে দিয়েছে। এরপর ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জন্য আরও গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তা জালে জড়ায়নি।