দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, ইস্টবেঙ্গলের কাছে ডার্বি হারল মোহনবাগান
ডার্বি জেতাটা মোহনবাগান যেন অভ্যাস করে ফেলেছিল গত কয়েক বছরে। কিন্তু প্রতিবার ব্যথিত হৃদয়ে মাঠ থেকে ফেরার দিন বদলাল। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা ফিরলেন হাসি মুখে।
ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল এদিন মুখোমুখি হয়েছিল। মোহনবাগানের ডার্বি জেতা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সেই প্রবণতায় ক্রমশ মন ভাঙছিল ইস্টবেঙ্গলর সমর্থকদের। অবশেষে শাপমোচন হল। ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতল। মোহনবাগানকে এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল তারা।
খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে লম্বা ছুট শুরু করেন ইস্টবেঙ্গলের নন্দ কুমার। এটাই ছিল তাঁর ডেবিউ ম্যাচ। আর আত্মপ্রকাশেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে গেলেন নন্দ কুমার। বল নিয়ে টানা ছুটে যেভাবে তিনি গোল করলেন তাতে মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইতের কিছু করার ছিলনা।
১-০-তে এগিয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান অবশ্য কম সুযোগ পায়নি গোল শোধ করার। কিন্তু কোনও কিছুই কাজে আসেনি। গোল মুখে মোহন তারকারা বারবার তাল হারিয়েছেন। বরং ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ছিল রীতিমত শক্তপোক্ত।
মোহন ফরওয়ার্ডের ব্যর্থতায় একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া হতে থাকে সবুজ মেরুনের। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল সংখ্যায় কম আক্রমণ হানলেও যখনই সবুজ মেরুনের গোলের দিকে হানা দিয়েছে তখনই সুযোগ তৈরি করেছে।
এদিন লাল হলুদের খেলার বাঁধন ছিল বেশ নজরকাড়া। খেলার শেষের দিকে এদিন যুবভারতীতে প্রবল বৃষ্টি নামে। তার মধ্যেই চলে খেলা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও মোহনবাগানের পক্ষে গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি।
শেষের দিকে গিয়ে মোহনবাগানের মধ্যে গোল শোধের খিদেও কিছুটা কম দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে নিজেদের ১ গোলে এগিয়ে থাকাকে শেষপর্যন্ত নিশ্চিত করতে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ সর্বদা সজাগ থেকেছে। লাল হলুদ গোলকিপারও এদিন কিন্তু নজর কেড়েছেন।