Sports

ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান

এক মাসের মধ্যে ২টো ডার্বি। প্রথমটা জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে তারই প্রতিশোধ নিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতে নিল মোহনবাগান। ফের ডার্বির রং সবুজ মেরুন।

১ মাসের মধ্যে ২ বার মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি, এমনটা বড় একটা দেখার সুযোগ মেলেনা। সেদিক থেকে ফুটবল প্রেমীদের আনন্দ দিয়ে ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগানের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। চিরায়ত এই লড়াই বাঙালির রক্তে মিশে আছে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রবিবার বিকেলে তাই কানায় কানায় ভিড় উপচে পড়ছিল। টানা ডার্বি হারের যন্ত্রণা কাটিয়ে কিছুদিন আগেই মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ফের তারা মুখোমুখি হল যুবভারতীতে।

একে ডার্বি, তায় আবার ফাইনাল। ফলে পারদ চড়েই ছিল। খেলা শুরুর পর থেকে মোহনবাগান বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ইস্টবেঙ্গল পাল্টা আক্রমণ তৈরি করছিল খুব দৃষ্টিনন্দনভাবে।


তবে ইস্টবেঙ্গল গোলে সবুজ মেরুন আক্রমণ ছিল বেশি। আবার কিছুটা ২ দলের ছন্নছাড়া ফুটবলও ২ দলের সমর্থকদের নিরাশ করছিল। প্রথমার্ধে মাঠে উত্তেজনার হাত ধরে ৩টি হলুদ কার্ড দেখে মোহনবাগান। ১টি হলুদ কার্ড দেখে ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের জন্য খারাপ খবরটা আসে। মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা প্রথমার্ধে ১টি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফের একটি হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড দেখে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়।


ইস্টবেঙ্গলের ১১ জনের বিরুদ্ধে মোহনবাগানকে ১০ জনে খেলতে হয় বাকি ম্যাচ। কিন্তু ১ জনে এগিয়ে থাকার সুফলও ঘরে তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

৭০ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের দিমিত্রি পেট্রাটোস মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটতে থাকেন। প্রায় ইস্টবেঙ্গল গোললাইনের কাছে পৌঁছে বলটি বাঁ পায়ে নিয়ে একটি কোনাকুনি শট নেন ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে। অব্যর্থ এবং বুলেটের মত শট আটকাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক। বল জড়িয়ে যায় জালে। মোহনবাগান ১ গোলে এগিয়ে যায়।

এরপরই মাঠে মোহন সমর্থকদের উল্লাস এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চোখে জল দেখতে পাওয়া যায়। যদিও খেলা তখনও অনেক বাকি ছিল। গোল শোধের সুযোগ ছিল।

কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ফিনিশারের অভাব তাদের ভোগাল। অন্যদিকে মোহন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ অনবদ্য খেলেছেন এদিন। খেলা এদিন শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। ডুরান্ড কাপ জিতে ফের ইতিহাস গড়ল মোহনবাগান। ডার্বি এদিন সবুজ মেরুন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button