শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম বিকেল থেকেই সরগরম ছিল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি নিয়ে। মাঠ ছেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন আর লাল-হলুদ রঙে। ডার্বি মানেই আদিঅনন্তকালের লড়াই। টানটান উত্তেজনা। এদিন খেলা শুরু আগে হিসেবটা ছিল যে ইস্টবেঙ্গল ড্র করতে পারলেই কলকাতা লিগ পকেটে পুরবে। অন্যদিকে বছরের পর বছর কলকাতা লিগ হাতছাড়া হওয়া মোহনবাগানের জন্য জয় আবশ্যিক। এই অবস্থায় খেলতে নেমে শুরুতেই আজহারউদ্দিনের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর দু’পক্ষই একে অপরের শিবিরে হানা দিলেও ম্যাচে প্রাধান্য ছিল সবুজ মেরুনের। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মুখে কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচে ফেরান লালডানমাওইয়া। তাঁর গোলে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে যায় মোহনবাগান। সেই আক্রমণের মাঝেই পেনাল্টি পায় তারা। ক্রোমা ভুল করেননি। মোহনবাগানকে ২-১-এ এগিয়ে দেন ক্রোমা। এরপরই সেই বিতর্কিত মুহুর্ত। যেখানে ইস্টবেঙ্গলকে পেনাল্টি দেন রেফারি। যার প্রতিবাদে রেফারিকে ঘিরে ধরেন মোহনবাগান খেলোয়াড়েরা। অবশেষে পেনাল্টি থেকে অব্যর্থ গোলে খেলায় ফের সমতা ফেরান আমনা। খেলার ফল ২-২। যা শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। শেষ বাঁশি বাজতেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা খুশিতে ফেটে পড়েন। টানা ৮ বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড গড়ল ইস্টবেঙ্গল।