এ লড়াই আজকের নয়। তবে লড়াইয়ের মজা আছে। উত্তেজনা আছে। একে অপরের দিকে তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ আছে। ব্যর্থ হলে কান্না আছে। জিতলে আনন্দের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আছে। আর এরই নাম মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ফুটবলের মহারণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল ক্লাবের মাঠের লড়াইয়ের আঁচ পৌঁছে যায় পাড়ায়, অলিতে-গলিতে, এমনকি বাড়ির ড্রয়িংরুমেও। আর এই নিখাদ সমর্থনের জন্যই বোধহয় এখনও বাংলার ফুটবলের জীবনটা বেঁচে আছে। ফুটবলে আনন্দটা বেঁচে আছে।
রবিবার সেই দিন। ফের মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ফল ভাল নয়। তাই এবার কোমর বেঁধে তৈরি তারা। কলকাতার ডার্বি বলে কথা। ২ দলেরই প্রধান শক্তি বিদেশিরা। বিদেশিদের কাঁধে ভর করেই তরী পার করতে মরিয়া কলকাতা ময়দানের সবচেয়ে শক্তিশালী ২ দল।
একদিকে যখন মোহনবাগান চেয়ে আছে দিপান্দা ডিকা, হেনরি কিসেক্কাদের দিকে। তেমনই ইস্টবেঙ্গল চেয়ে আছে জনি আকোস্তা, মহম্মদ আল আমনাদের দিকে। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ ঘরে তুলতে ২ দলই এই ম্যাচটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। গুরুত্ব অবশ্য শুধুই লিগ জয়ের নয়। মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল মানেই একটা বাড়তি উত্তেজনা। লক্ষ লক্ষ মানুষের অনেক আশা ভরসা। এ লড়াই সম্মানের লড়াই। মাঠেও, মাঠের বাইরেও। তাই খেলোয়াড়দের ওপরও একটা বাড়তি চাপ থেকেই যায়। চাপে থাকেন সমর্থকেরাও। বিকেলে ২ দলের সমর্থকরাই হাজির হবেন যুবভারতীতে। এবার দর্শকদের সামনে বাড়তি পাওনা ইস্টবেঙ্গলের জনি আকোস্তা। যিনি কমাস আগেই রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে এসেছেন।