বৃষ্টি উধাও, ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্ধকারেই থাকতে হবে গোটা দেশকে
দিনের পর দিন বৃষ্টি নেই। যার ফল অন্যভাবে ভুগতে হচ্ছে দেশবাসীকে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ে কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ডিসেম্বরের মধ্যে রেহাইয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই।
বৃষ্টি হচ্ছেনা। টানা বৃষ্টির দেখা নেই। যার ফলে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভয়ংকর খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রভাব সেপ্টেম্বর থেকেই ভুগতে হচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষকে। ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিং থাকছে বাড়িতে।
শুধু কি বাড়ি! ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা কোথাও বিদ্যুৎ নেই। যার ফলে প্রতি ঘণ্টায় দেশজুড়ে ব্যবসায়িক ক্ষতির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ কোটি টাকা পার করেছে।
পাশের দেশ থেকে যদিও বা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল, সেখানেও এমন খরা যে তারাও আপাতত বিদ্যুৎ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিয়েছে। ইকুয়েডর সরকার বুঝে উঠতে পারছেনা এই পরিস্থিতি সামাল দেবে কীভাবে!
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের সরকার দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছে আগামী ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বদলের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সরকার চেষ্টা করছে এই প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের সময়সীমা কিছুটা কমানোর।
কলম্বিয়া থেকে যে বিদ্যুৎ আসত তাও আপাতত বন্ধ হওয়ায় তারা এর চেয়ে বেশি আশ্বাস দেশের মানুষকে শোনাতে পারেনি। গত ৬০ বছরে এমন ভয়ংকর খরা পরিস্থিতি দেখেনি ইকুয়েডর।
বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ১ হাজার ৮০ মেগাওয়াটে। দেশজুড়ে কার্যত ব্ল্যাক আউটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম লাটে উঠেছে। বিদ্যুতের অভাবে যাবতীয় উৎপাদন প্রক্রিয়াও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা