জিভে জল এনে দেয় পাখির যত্ন করে বোনা বাসা
পাখি বাসা বোনে সন্তান প্রতিপালনের জন্য। অনেক সময় নিজেরা থাকার জন্যও। কিন্তু সেই বাসা যখন জিভে জল এনে দেয় তখন পাখিদের পরিশ্রম নিমেষে খাবার হয়ে যায়।
পাখির বাসা দেখেননি এমন মানুষের সংখ্যা কম। ডালপালা, থেকে সরু ঘাস, পাতা কত কিছুই যে পাখিরা বাসা তৈরি করতে ব্যবহার করে তা গুনে শেষ হয়না। প্রকৃতিই তাদের উজাড় করে যোগান দেয় বাসা বানানোর সরঞ্জাম। যা দিয়ে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে সুন্দর বাসা বাঁধে পাখি।
সেখানে ডিম পাড়ে। সন্তানদের প্রতিপালন করে। নিজেরাও অবসর কাটায়। নানা পাখি আবার নানা জিনিস দিয়ে বাসা বাঁধে। রকমারি দেখতে হয় সেসব বাসা।
ভারী সুন্দর দেখতে হয় এশিয়ান সুইফট পাখিদের বাসাও। তবে এরা যেসব ডালপালা দিয়ে বাসা বাঁধে তা মানুষের নজরে পড়ে গেছে। চিনের মানুষজন তাই এশিয়ান সুইফটদের বাসা খুঁজে বেড়ান। তারপর তা দেখতে পেলেই পেড়ে নেন।
যদিও এশিয়ান সুইফটরা গাছের ডালে বাসা বাঁধে না। তারা বাসা বাঁধে গুহার মধ্যে। ফলে তাদের বাসা খুঁজে পাওয়াটা একটা কঠিন কাজ।
তবে খাওয়ার খোঁজে সে বাসাও গুহায় ঢুকে বার করে নেন চিনের মানুষজন। ওই পাখিদের রাতদিন এক করা পরিশ্রম দীর্ঘদিন ধরেই চিনের মানুষের রসনা তৃপ্ত করে চলেছে।
চিনে এশিয়ান সুইফটদের বাসা দিয়ে তৈরি হয় স্যুপ। সেটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও ভাতের সঙ্গে এই বাসা রান্না করা হয়। এই পাখি বাসা বাঁধার সময় ব্যবহার করে তাদের লালারস। যা প্রধানত ওই বাসাকে সুস্বাদু করেছে।
বিভিন্ন চিনা রেস্তোরাঁয় এই পাখির বাসা চিকেন ব্রোথের মধ্যে ফেলে রান্না করা হয়। যা দিয়ে দারুণ একটা স্যুপ তৈরি হয়। এই পাখির বাসার স্যুপ দারুণ জনপ্রিয় একটি পদ। অনেকেই রেস্তোরাঁয় এসে এই স্যুপ অর্ডার করেন এর ভিন্ন জিভে জল আনা স্বাদের জন্য।