গায়ের ওপর নিশ্চিন্তে ঘুরছে সাপ, নতুন মাসাজে খুশি গ্রাহকরা
দিন যত বদলাচ্ছে গ্রাহকদের আরাম দিতে নতুন নতুন রাস্তা খুঁজে বার করছে স্পাগুলি। তেমনই একটি স্পা-তে শুরু হল স্নেক মাসাজ।
কোনওটা একটু মোটা। কোনওটা পাতলা লিকলিক করছে। তবে চঞ্চল। কোনওটা দুলকি চালে সারা গা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের রংও আলাদা, চালচলনও আলাদা।
এমনই নানা আকৃতির নানা চেহারার সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে খালি গা জুড়ে। না এটা কোনও শাস্তির ধরণ নয়। বরং মানুষকে আরাম দেওয়ার নয়া উপায়।
গায়ে একগুচ্ছ নানা আকৃতির সাপ ছেড়ে হচ্ছে স্নেক মাসাজ। অর্থাৎ সাপেরা মাসাজ করছে। আর তাতে বেজায় সুখ অনুভব করছেন মানুষজন।
তবে একটা কথা সত্যি, এটা কোনও দুর্বল হৃদয় মানুষের জন্য নয়। কারণ সারা গায়ে সাপ ঢেলে দেওয়ার পর সেই সাপেরা সারা গা জুড়ে যেমন খুশি ঘুরে বেড়াবে। পেঁচিয়ে ধরবে নানা অঙ্গ। তা দেখে ভয় পেলে বিপদ।
যাঁরা এই স্নেক স্পা নিচ্ছেন তাঁরা খালি গায়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকছেন চোখ বন্ধ করে আর সাপেরা নিজেদের মত খেলে বেড়াচ্ছে তাঁদের শরীর জুড়ে। তবে গ্রাহকদের মুখের আলতো হাসি বলে দিচ্ছে তাঁদের তৃপ্তির অনুভূতি।
গ্রাহকদের শরীর, মনকে চাঙ্গা করে তোলাই তো মাসাজের অন্যতম উদ্দেশ্য। সে কাজটা যে সাপ দিয়েও হতে পারে তা হয়তো কল্পনার বাইরে ছিল। কিন্তু মিশরের কায়রো শহরের একটি স্পা প্রমাণ করে দিল এটাও সম্ভব।
সাপেরা করবে মাসাজ। ৩০ মিনিটের এই মাসাজের পর গ্রাহকদের অনুভূতি সুখেরই হচ্ছে। আর সেখানেই এই অভিনব ভাবনার সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে।
এই স্পাতে মাসাজের জন্য নানা আকৃতির সাপ ব্যবহার হলেও তারা বিষহীন। নানা আকৃতির ব্যবহার নানা ধরণের চাপ তৈরি করছে শরীরে। এমনকি গলার কাছেও পেঁচিয়ে নিচ্ছে কোনও কোনও সাপ।
তবে স্পাতে রয়েছেন দক্ষ ট্রেনার। তাঁর নজরদারিতেই হচ্ছে স্নেক স্পা। গ্রাহকদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখাই তাঁর মূল কাজ। ইতিমধ্যেই এই স্পা কায়রো তো বটেই গোটা বিশ্বজুড়েই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে।