World

লাগাতার ধর্ষণ, নাটকীয়ভাবে পালিয়ে বাঁচল কিশোরী

একটি বছর ১৫-র মেয়ে ঘাস জমি দিয়ে টলা পায়ে এগিয়ে আসছে তার দিকে। পায়ে জুতো নেই। নিম্নাঙ্গ অনাবৃত। কে মেয়েটি? আরও এগিয়ে যান ওই কৃষক। কাছে আসতেই চমকে ওঠেন তিনি। এ মুখ তো তাঁর চেনা। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকা জুড়ে নিখোঁজ কিশোরীর মুখের ছবির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে মেয়েটির মুখ। মেয়েটিকে উদ্ধার করে ওই কৃষকই নিয়ে আসেন পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছে সব খুলে বলে সে।

মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরের কাছে মিনেসোতা গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা ওই বছর ১৫-র মেয়েটির দাবি, ৩ যুবক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি বাড়িতে। সেখানেই তাকে বন্দি করে রাখা হয়। ২৪ ঘণ্টা তার ওপর নজর রাখা হত। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তার মুখ বন্ধ রাখা হত। আর দিনভর দফায় দফায় পালা করে চলত ধর্ষণ। এমনভাবে দিনের পর দিন নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তাকে।


একদিন সে দেখে ৩ জনের কেউই বাড়িতে নেই। এই প্রথম একা বাড়িতে সে। সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগায় ওই কিশোরী। যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় বেরিয়ে লুকিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যায় একটি জলাশয়ের কাছে। তারপর সেই জলাশয় সাঁতরে পার করে ফের জঙ্গল ধরে ছুটতে থাকে। অবশেষে রাস্তার কাছে পৌঁছতে ওই কৃষক তাকে দেখতে পান। তখন আর তার শরীরে হাঁটার শক্তিটুকুও অবশিষ্ট ছিলনা।

নিখোঁজ মেয়েকে তার মা হন্যে হয়ে খুঁজে বেরিয়েছেন। কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে খুশি তিনি। ওই কিশোরীর অভিযোগক্রমে ৩ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button