রেল দুর্ঘটনায় মৃত ১১, আহত ৯৮
বেলাইন হল ট্রেন। মৃত অন্তত ১১ জন। আহত ৯৮ জন। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স।
রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ১১ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ৯৮ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। একটি ট্রেন বেলাইন হওয়াতেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স পোঁছয়। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সগুলি।
একটি ট্রেনের ৪টি কামরা বেলাইন হওয়ার ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি মিশরের রাজধানী শহর কায়রো থেকে ব-দ্বীপ শহর মনসৌরা যাচ্ছিল। পথে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানিয়েছে মিশরের পরিবহন মন্ত্রক।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসি ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখে তাঁর কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।
ইতিমধ্যেই শুরু হওয়া দুর্ঘটনার তদন্তে ট্রেনটির চালক ও তাঁর সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তৌখ স্টেশনের ৮ জন আধিকারিককেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকারি কৌঁসুলির অফিস। প্রসঙ্গত রবিবারের এই দুর্ঘটনা কায়রোর উত্তরে ব-দ্বীপ শহর তৌখে ঘটে।
রেল দুর্ঘটনার বিষয়ে মিশরের ইতিহাস যথেষ্ট লম্বা। দেশের রেল পরিকাঠামোর ভগ্নদশা ও দুর্বল পরিচালন ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
গত ২৬ মার্চ সে দেশে ভয়াবহ একটি রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ১৯৯ জন। ২টি ট্রেনের সংঘর্ষের ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেবার ঘটনাটি ঘটেছিল মিশরের দক্ষিণ প্রান্তের রাজ্য সোহাগ-এ।
মিশরের সরকারি পরিচালন দফতর গত ১২ এপ্রিল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে সোহাগের দুর্ঘটনার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে রেলকর্মীদের গাফিলতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে দেখানো হয়েছে।
২০০২ সালে মিশরের রাজধানী কায়রোর ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এল-আয়াত-এ দেশের সবথেকে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেবার ট্রেনটি কায়রো থেকে লাক্সার যাচ্ছিল। পথে ট্রেনটি অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। প্রাণ হারান ৩৮৩ জন মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা