মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ২৫০০ বছরের প্রাচীন পুজোর জিনিস
এক নজরে দেখলে মোটা লাঠির মত দেখতে লাগে। তবে রং সাদা ধবধবে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা অবশ্য তা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন এগুলি আসলে পুজোর সামগ্রি।
মাটি বা বালির তলায় এখনও যে কত কিছু লুকিয়ে রয়েছে তা ঈশ্বরই জানেন। যখনই কোথাও খোঁড়াখুঁড়ি হয় এখানে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া যায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এমনই বেশ কিছু চমকে দেওয়া সামগ্রি পাওয়া গেল মাটি খুঁড়ে।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা মিশরের কাফর আল-শেখ প্রদেশে মাটি খুঁড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পেয়েছেন। যা প্রাচীন মিশরের বেশ কিছু নিদর্শন তুলে ধরেছে।
পাওয়া গিয়েছে সুগন্ধি ধূপ রাখার মাটির পাত্র, মাটির বেশ কিছু পাত্র, লাইমস্টোনের একটা বড় স্তম্ভে দেবী হাথোর অবয়ব, অন্যান্য মূর্তির সংগ্রহ, সোনার তৈরি উদজাত চোখ এবং বেশ কিছু সোনার আঁশ। সোনার তৈরি উদজাত চোখ হল মিশরের প্রাচীন জনজাতির প্রতীক। যাঁরা মানুষের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই আবিষ্কারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার কারণ প্রাচীন মিশরে প্রত্যেক দিন পুজো করা হত দেবী হাথোরকে। সেই পুজোয় যে পুজো সামগ্রি ব্যবহার হত তা এই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে পাওয়া গিয়েছে।
সেইসঙ্গে হাতির দাঁতের এমন বেশ কিছু খণ্ড পাওয়া গিয়েছে যার ওপর সে সময় মহিলারা কেমন করে পুজো করতেন, কেমন ছিল গাছপালা, পশুপাখি সবই খোদাই করা রয়েছে। যা সে সময়ের সামাজিক অবস্থার পরিচয় বহন করে।
এ সবই আড়াই হাজার বছরের পুরনো বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। একটি লাইমস্টোনের খণ্ড পাওয়া গিয়েছে মাটির তলা থেকে যেখানে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে লেখা রয়েছে এক রাজার পুজোর কথা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা