খোলস না খুলেই মমি থেকে ফারাওয়ের কঙ্কাল বার করে নিল প্রযুক্তি
মমি বিশ্বর অন্যতম এক বিস্ময়। হাজার হাজার বছর ধরে থাকা এমনই এক ফারাওয়ের মমি থেকে প্রযুক্তি বার করে নিল তাঁর মুখ। যা বলে দিল অনেককিছু।
পিরামিডের দেশ মিশরের অন্যতম আশ্চর্যের নাম মমি। হাজার হাজার বছর আগে কোনও ফারাওয়ের মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহ বিশেষ পদ্ধতিতে মুড়ে ফেলা হত। সেভাবেই তা হাজার হাজার বছর ধরে থেকে যেত।
মমি নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল আজও কম নয়। সম্প্রতি মিশরের এক ফারাও প্রথম আমেনহোটেপ-এর মমিকে পর্যালোচনা করতে এক অন্য রাস্তায় হাঁটলেন বিজ্ঞানীরা।
মমিটির মধ্যে লুকিয়ে থাকা রাজার দেহটি না দেখতে পারলে বিজ্ঞানীরা কিছুতেই তাঁর সম্বন্ধে, তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে সঠিক তথ্য পাচ্ছিলেন না। আবার মমিটি খুলে ফেলাও যাবেনা। তাই তাঁর বার করলেন সাপও মরবে অথচ লাঠি ভাঙবে না এমন একটি পদ্ধতি।
গবেষকেরা উন্নত এক্স-রে প্রযুক্তি ও কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে মমিতে হাত না ছুঁইয়েরই মমির খোলস ছাড়িয়ে ফেললেন। নিছক প্রযুক্তির জোরেই বাস্তবে না খুলেও মমির খোলস গেল খুলে।
কম্পিউটারের স্ক্রিনে স্পষ্ট ফুটে উঠল ফারাও প্রথম আমেনহোটেপ-এর মুখাবয়ব। যা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা তাঁর মৃত্যুর সময় শারীরিক অবস্থা, তাঁর মৃত্যুর কারণ সহ নানা তথ্য যেমন জানতে পারবেন, তেমনই জানতে পারবেন মমি তৈরির নানা অজানা তথ্য।
প্রসঙ্গত ফারাও প্রথম আমেনহোটেপ মিশরে যিশুর জন্মের ১৫২৫ বছর আগে থেকে ১৫০৪ বছর আগে পর্যন্ত শাসন করেন। ৩৫ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন বা কোনও রোগের ইঙ্গিত না মেলায় গবেষকেরা তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুটা এখনও অন্ধকারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা