যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগেও মানুষ চিজ খেতেন, মিলল প্রমাণ
২ হাজার ৬০০ বছর আগেও মানুষ চিজ খেতেন। তাঁরা চিজ তৈরি করতেও জানতেন। চিজ রাখা মাটির খুড়ি উদ্ধার করলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
চিজ আধুনিক জীবনে পরিচিত শব্দ। পিৎজা থেকে অন্য নানা খাবারে চিজ ব্যবহার হয়। মানুষ পছন্দ করেন চিজ খেতে। কিন্তু এই চিজ যে খ্রিস্টের জন্মেরও ৬০০ বছর আগে খাওয়ার প্রচলন ছিল তা জানলে অবাক হতে হয় বৈকি! কিন্তু সেই নিদর্শন এবার পাওয়া গেল।
মিশরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে বেশ কয়েকটি মাটির তৈরি খুড়ি উদ্ধার হয়েছে। মাটির এই পাত্রে সাদা চিজ-এর দেখা পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যার নাম সে সময় ছিল হালোউম।
মিশরে সে সময় এই চিজ তৈরি করা হত প্রধানত ভেড়া বা ছাগলের দুধ থেকে। আবার কখনও কখনও গরুর দুধ থেকেও চিজ তৈরির প্রচলন ছিল।
সে সময় যে চিজ রীতিমত খাওয়া হত তা মাটি খুঁড়ে পাওয়া নিদর্শন পরীক্ষা করে নিশ্চিত প্রত্নতাত্ত্বিকরা। চিজ মূলত সে সময় রাখা হত মাটির পাত্রে।
মিশরে ২ হাজার ৬০০ বছর আগে যাঁরা মাংস খেতে চাইতেন না তাঁরা বা মাংসের পরিবর্ত হিসাবে সকলে চিজ খেতেন। সাকারা নেকরোপলিসের কাছে খনন চালিয়ে এই মাটির পাত্রগুলি উদ্ধার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
এছাড়াও অনেক পাত্র উদ্ধার হয়েছে। তার সবকটিতে যে সাদা চিজই রাখা ছিল এমনটা নয়। তাতে ঠিক কী কী থাকত তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে অত বছর আগেও চিজের এমন বহুল প্রচার ও ব্যবহার ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করতে পারে।