দেশে কোনও দাঁতের ডাক্তার ছিলেননা, অথচ তারাই পৃথিবীকে দিল টুথপেস্ট
তখন সে দেশে কোনও দাঁতের ডাক্তার ছিলেননা। দাঁতের যে ডাক্তার হতে পারে তাও তখন ধারনার বাইরে। কিন্তু সে দেশই পৃথিবীকে দিল টুথপেস্ট। তবে বিশেষভাবে বানানো।
পৃথিবীতে অনেক আবিষ্কার জন্ম নিয়েছে কিছুটা হঠাৎ করেই। তবে টুথপেস্ট সে দলে পড়েনা। কিন্তু দাঁতের যে যত্নেরও প্রয়োজন আছে তা সে দেশের মানুষকে বোঝানোর জন্য কোনও চিকিৎসক সেখানে ছিলেননা।
কারণ এটা যে সময়ের কথা যে সময় পৃথিবী দাঁতের ডাক্তার বা দন্ত চিকিৎসক যে আদৌ হতে পারে তাই ভাবতে পারত না। সেই সময় কিন্তু জন্ম নেয় টুথপেস্ট। যে ক্ষেত্রে মূলত মাথায় রাখা হয় মুখের দুর্গন্ধ দূর করার কথা।
এই টুথপেস্ট তৈরি করা হয় এক মিশ্রণের মাধ্যমে। মিশ্রণটি তৈরি হয় গরুর খুর, ছাই, ডিমের পোড়া খোসা আর বিশেষ ধরনের আগ্নেয় শিলার চূর্ণ দিয়ে। এই সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে যে মিশ্রণ তৈরি হয় সেটাই ছিল প্রাচীন মিশরের তৈরি প্রথম টুথপেস্ট।
মিশরীয় সভ্যতা প্রাচীন এবং উন্নত। যা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই পিরামিড ও মমির দেশই জন্ম দেয় টুথপেস্টের।
অবশ্য সে টুথপেস্ট আধুনিক টুথপেস্টের মত ছিলনা। কিন্তু দাঁতের মাজন হিসাবে সে তার কাজটি বেশ ভালভাবেই করতে শুরু করে।
সেই ভাবনার হাত ধরেই কিন্তু ক্রমে বিশ্ব জানতে পারে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা এবং দাঁতকে ভাল রাখার জন্য এভাবে কোনও মিশ্রণ ব্যবহার করা সম্ভব। পরবর্তীকালে তা আরও উন্নত রূপ নেয়।
এছাড়া মিশরের মানুষ যে সেই প্রাচীন কালেও টুথপিকের ব্যবহার জানতেন তা বোঝা যায় মমিগুলির আশপাশ পরীক্ষা থেকে। দেখা গেছে মমির সঙ্গে দেওয়া অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে থাকত টুথপিকও। যাতে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে মৃতেরা দাঁতের ফাঁকে জমে যাওয়া ময়লা পরিস্কার করে ফেলতে পারেন।