ক্রীতদাসের শ্রমে পিরামিড তৈরি হতনা, তাহলে কারা বানিয়েছিলেন পিরামিডগুলি
এটা অনেকেই মনে করেন যে মিশরের বিখ্যাত সব পিরামিড ক্রীতদাসদের দিয়ে বানানো হত। তাঁদের অক্লান্ত শ্রমকে কাজে লাগানো হত। কিন্তু তা সত্য নয়।
মিশর নিয়ে সারা বিশ্বের পর্যটকদেরই একটা কৌতূহল রয়েছে। সকলেই চান একবার অন্তত মিশরটা ঘুরে দেখতে। আর মিশরের সবচেয়ে বড় টানের নাম পিরামিড। সেইসব পিরামিড তৈরি করা মুখের কথা ছিলনা। প্রবল শ্রমের প্রয়োজন পড়ত। অনেকে মনে করেন এই শ্রমসাধ্য কাজ ক্রীতদাসদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হত।
কিন্তু ক্রীতদাসরা পিরামিড বানাতেন না। বরং গবেষকেরা দাবি করছেন পিরামিড তৈরি করা হত দক্ষ কারিগরদের দিয়ে। তাঁরাই এই পিরামিডের ডিজাইন করতেন। তারপর তা বানাতেন।
এজন্য কারিগরদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক প্রদান করা হত। সহজ কথায় ক্রীতদাস দিয়ে নয়, খরচ করে দক্ষ মানুষদের দিয়েই পিরামিড তৈরি হত মিশরে।
তবে এঁদের কাজে সাহায্য করার জন্য ক্রীতদাসদের ব্যবহার হয়তো কিছুক্ষেত্রে করা হলেও হয়ে থাকতে পারে। তবে শ্রমিকও কিন্তু পারিশ্রমিকের বদলেই নেওয়া হত। এমনটাই দাবি করছেন একদল গবেষক।
তাই এটা মনে করার কারণ নেই যে ক্রীতদাসদের বলপূর্বক একাজ করানো হত। বরং মিশরে ক্রীতদাসদের প্রধানত বাড়ির পরিচারকের কাজে নিয়োগ করা হত। এছাড়াও কিছু শ্রমসাধ্য কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হত।
তবে পিরামিড তৈরিতে ক্রীতদাসদের ভূমিকা কিন্তু বিশেষ থাকত না। মিশরের অনেক পিরামিডে পাওয়া নানা তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনার পরই গবেষকেরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন। হয়তো দক্ষ মানুষদের মাধ্যমে এইসব স্থাপত্য জন্ম নিয়েছে বলেই আজও তা পৃথিবীর মানুষের কাছে এক বিস্ময় হয়ে থেকে যেতে পেরেছে।