এ মশলা রান্নায় নয়, ব্যবহার হত দাঁত মাজতে আর সুগন্ধি বানাতে
মশলা সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়ায়। রান্নাঘরের এই বিশেষ মশলা কিন্তু শুরুতে রান্নায় ব্যবহার হতনা। ব্যবহার হত দাঁত মাজা সহ অন্য নানা কাজে।
মশলা ছাড়া রান্না বিস্বাদ। মশলাই রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তাকে সুস্বাদু করে খাবার যোগ্য করে তোলে। মশলা ছাড়া সব রান্নাই সিদ্ধ মনে হয়। আবার প্রতিটি রান্নার জন্য আলাদা আলাদা মশলা ব্যবহার হয়। একাধিক মশলাও ব্যবহার হয়। তাই ভারত বলেই নয়, বিশ্বের প্রতি পরিবারের রান্নাঘরেই মশলা মজুত থাকে।
আজ যে ধনে, জিরে, হলুদ, রাঁধুনি, কালো জিরে, মৌরি, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, স্টার অ্যানিস, জোয়ান, মেথি এবং আরও নানা মশলা ব্যবহার হয় তা একদিনে আবিষ্কার হয়নি। মানুষ তা একদিনে খেতেও শেখেনি।
নানা সময়ে এগুলির সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়েছে। মানুষ জেনেছে তার মশলা গুণ। এমনই রান্নাঘরের অতি আবশ্যিক এক মশলা কিন্তু চেনার পরও মানুষ তা রান্নায় ব্যবহার করতেননা। বরং তা প্রাথমিকভাবে ব্যবহার হত দাঁত ভাল রাখতে।
প্রাচীন মিশরে প্রথম এলাচ ব্যবহারের কথা জানতে পারা যায়। তাই মিশরেই প্রথম এলাচ ব্যবহার শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রাচীন মিশরে এলাচ রান্নায় নয়, বরং দাঁত ভাল রাখতে ব্যবহার হত।
অনেকেই দাঁতের যত্ন নিতে এলাচ ব্যবহার করতেন। আবার গ্রিক ও রোমানরা এই এলাচ দিয়ে সুগন্ধি বানিয়ে গায়ে মাখতেন। তাঁরাও এলাচ খেতেন না বা তা মশলা হিসাবে খাওয়া যেতে পারে তা জানতেন না। বরং এলাচের সুগন্ধকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা সুগন্ধি বা সেন্ট বা পারফিউম বানিয়ে গায়ে মাখতে পছন্দ করতেন।