৩ হাজার বছর পুরনো মমির পাশে বিশাল পাত্র, খুলে হতবাক প্রত্নতাত্ত্বিকরা
৩ হাজার বছর পুরনো সেটি। উদ্ধার করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এত পুরনো জিনিস উদ্ধার করে রাখা যায়। খাওয়াও যে যায় তা দেখে অবাক সকলে।
খাবার জিনিস একটা সময় পর্যন্ত ভাল থাকে। ফ্রিজে রাখলে তার আয়ু আরও বাড়ে। তবে সবকিছুই একটা সময়ের পর নষ্ট হবে। কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। অন্তত খাবার তো নয়ই।
কিন্তু এমন খাবারও রয়েছে যা নষ্ট হওয়ার নয়। মিশরের পিরামিডে রাজা বা সে সময়ের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষজনকে পরলোকগমনের পর বিশেষ উপায়ে যেমন মমি করে রাখা হত, তেমনই তাঁদের যাতে পারলৌকিক জীবনেও কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, পছন্দের জিনিসপত্রও মমির পাশে রেখে দেওয়া হত।
৩ হাজার বছর আগে মিশরের ফারাও তুত-এর পাশেও রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁর পছন্দের সব জিনিসপত্র। সেখানেই একটি বড় পাত্রের খোঁজ পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যা খুলে তাঁরাও হতবাক হয়ে যান।
ওই পাত্রে রাখা ছিল মধু। ৩ হাজার বছর ধরে সেই মধু রাখা ছিল পিরামিডের মধ্যে। তারপরেও পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই মধু খাবার যোগ্যই রয়ে গেছে। এতটুকু নষ্ট হওয়া বা পচন ধরার কোনও ইঙ্গিত দেখতে পাওয়া যায়নি।
বিশুদ্ধ মধু যে বছরের পর বছর ভাল থাকে তা বিশেষজ্ঞরাও মেনে নেন। ফলে ৩ হাজার বছর পুরনো হলেও ওই মধু নষ্ট হয়নি। খাওয়ার অযোগ্যও হয়নি।
মিশরেই কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মধুর খোঁজ পাওয়া গেছে। ৩ হাজার বছরেরও পুরনো কোনও মধুর খোঁজ বিশ্বের অন্যকোনও প্রান্তে এখনও পাওয়া যায়নি।