মাটির খুঁড়ে মিলল ৪ হাজার বছরের সমাধি, বেরিয়ে এল কঙ্কাল, গয়না, বাসনপত্র
৪ হাজার বছর পুরনো ইতিহাস উঠে এল মাটির তলা থেকে। এ এক অনন্য আবিষ্কার বলে মেনে নিচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। বেরিয়ে এসেছে কঙ্কাল, গয়না, বাসনপত্র, লিনেন কাপড়।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা থেমে থাকেন না। কোথাও কিছু মাটির তলায় থাকতে পারে বলে সন্দেহ হলে সেখানে খননকার্য চালান। মিশরীয় এবং আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল এভাবেই একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে দেখার চেষ্টা করছিল সেখানে মাটি চাপা কোনও ইতিহাস লুকিয়ে আছে কিনা।
তাদের ভাবনা সত্যি হয়। মিশরের লাক্সারের কাছে অ্যাসাসিফ গোরস্থানে সমাধির সারি পাওয়া যায়। মাটির তলায় তা ৪ হাজার বছর ধরে লুকিয়ে ছিল। অবশেষে উদ্ধার হল।
এই সমাধিস্থল আবিষ্কার করার পর প্রত্নতাত্ত্বিকরা ভাল করে সেখানে খোঁজ শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁরা একে একে নানা কিছু পেতে থাকেন। মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয় অনেক কঙ্কাল। যা কিছুটা নষ্ট হওয়া কাঠের কফিনে বন্দি ছিল।
কঙ্কালগুলি লিনেন কাপড় দিয়ে মোড়া থাকায় নষ্ট কম হয়েছে। তবে কাঠের কফিন বন্যার জলের সংস্পর্শে অনেক বার আসায় তা কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছে। কিন্তু বাকি সব ঠিক রয়েছে এখনও।
বিশেষজ্ঞরা সব পরীক্ষা করে এটা জানতে পেরেছেন যে এগুলি সবই খ্রিস্টের জন্মেরও ২ হাজার বছর থেকে ১৬০০ বছর আগের। ফলে এখন থেকে তা ৪ হাজার বছর পুরনো। যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এভাবেই মাটির তলায় সমাধিস্থ ছিল।
এখান থেকে কঙ্কাল ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে অনেক বাসনপত্র, রঙিন সেরামিকের জিনিসপত্র, অনেক ধরনের গয়না, বাজপাখি, জলহস্তী, সাপের চেহারার কবচ। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে তামার আয়না।
এখানে নানা বয়সের নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু, কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্মের এই সমাধিক্ষেত্রে দেহ সমাধিস্থ করার প্রথা প্রচলিত ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা