৬৭টিতে বাজিমাত, চুরি যাওয়া ইতিহাস ফিরল নিজের দেশে
অবশ্যই বড় সাফল্য। চুরি গিয়েছিল ইতিহাস। এমন ইতিহাস যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চা কোনও জায়গাতেই থামতে পারেনি। আজও তা অমলিন।
বিভিন্ন সময়ের নিদর্শন। এক অসামান্য ইতিহাস। যে তালিকায় রয়েছে ২টি মুখোশ, সাকারা গ্রামের একটি সৌধ থেকে চুরি যাওয়া ২টি ম্যুরাল, একটি মমির পা। তার সঙ্গে রয়েছে জীবন শেষের পরের জীবনের দেবতা ওসিরিসের ব্রোঞ্জের মূর্তি।
এখানেই শেষ নয়। এভাবেই একের পর এক ইতিহাস বিভিন্ন সময়ের কথা তুলে ধরে। তারাই আবার বিভিন্ন সময়ে চুরি হয়ে যায় এবং বেআইনিভাবে পাচার হয়ে যায় অন্য দেশে।
এমন ৬৭টি ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা মিশরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি গিয়েছিল। তা ফিরে এল মিশরে। এক দীর্ঘ সময়ের পর তা ফিরে পেল পিরামিডের দেশের সরকার।
এগুলো ফেরত পেতে অবিরাম লড়াই চালিয়ে গেছে মিশরের বিদেশমন্ত্রক। অবশেষে এল সাফল্য। জার্মানি থেকে দেশে ফিরল একসঙ্গে ৬৭টি ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা মিশরের বিভিন্ন যুগের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে।
বহুদিন ধরেই এই তদ্বিরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল মিশর সরকার। কিন্তু যা একবার দেশ থেকে চলে যায় তা ফেরত পাওয়া সহজ কথা নয়। কিন্তু যা চুরি এবং পাচার হয়েছিল তা কোনও মামুলি নিদর্শন নয়, মিশরের ইতিহাসের ধারক এবং বাহক।
ফলে তার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। মূল্য ছিল অমূল্য। অবশেষে তা ফেরত পেয়ে খুশি মিশর। তবে এখানেই শেষ নয়। কেবল ৬৭টি নিদর্শন যে অন্য দেশে পাচার হয়েছে এমনও নয়।
পাচার এবং চুরির সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। তাই সেগুলিও ফেরত পাওয়ার চেষ্টায় ত্রুটি রাখছে না মিশর সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা