ভালবাসা, রাগ, অভিমান, ঝগড়া নিয়েই গড়ে ওঠে সুখী গৃহকোণ। এই দম্পতির সম্পর্কও ছিল সেইরকমই। কিন্তু তৃতীয় কারও আবির্ভাবে সেই সম্পর্ক এখন শেষ হওয়ার মুখে। সেই টানের এমন মোহ যে স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন স্ত্রী। যার কারণে এখন ভাঙতে বসেছে একটা সাজানো সংসার, তার নাম হল রোল।
নিশ্চয়ই এতক্ষণে ভেবে ফেলেছেন, রোল নামের কোনও পরপুরুষ স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের জন্য দায়ী! তাহলে ভুল ভেবেছেন। আসলে এই রোল কোনও ব্যক্তি নন। জিভে জল এনে দেওয়া মুখরোচক খাবার রোলের কথা এখানে বলা হচ্ছে। যার জন্য সদ্য বিবাহিত দম্পতির খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ হতে চলেছে। অদ্ভুত শুনতে লাগলেও বাস্তবে এমন ঘটনাই ঘটতে চলেছে মিশরে।
মাত্র ৪০ দিন হল বিয়ে হয়েছে। অথচ স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে কোথাও যাওয়া হয়নি। স্ত্রীর আবদার মেটাতে বিয়ের ৪০ দিন পর প্রথম তাঁকে নিয়ে স্বামী কাছাকাছি ঘুরতে যান। ঘুরতে বেরিয়ে স্বামীর কাছে সাধ করে সুস্বাদু শাওয়ারমা রোল খেতে চেয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রীর এবারের আবদার এককথায় খারিজ করে দেন স্বামী। খেলে জ্যুস খাও। কিন্তু রোল কিনে দেব না। স্ত্রীকে সাফ সেকথা জানিয়ে দেন তাঁর স্বামী। ব্যাস, এতেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান নববধূ।
অনেকদিন হল! স্বামীর কৃপণতা আর সহ্য করতে পারেননি স্ত্রী। তাই বাড়ি ফিরে তল্পিতল্পা গুটিয়ে সাহিমা নামের ওই যুবতী বাপের বাড়ি চলে যান। বাড়ির লোককে স্বামীর কৃপণতার বিষয়ে সব কথা খুলে বলেন। অভিযোগ, বিয়ের পরেই স্বামীর প্রকৃত রূপ জানতে পারেন ওই মহিলা।
তাঁর দাবি, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নতুন জীবনসঙ্গী ঘুরতে যেতে একদম পছন্দ করেন না। এমনকি তিনি অত্যন্ত কৃপণ প্রকৃতির। স্ত্রী যাতে বেশি রুটি না খেয়ে ফেলেন সেই দিকে ছিল স্বামীর শ্যেন নজর।
মিশরীয় ওই মহিলার অভিযোগ, ঘটনার দিন রোল খেতে চাইলে তাঁর স্বামী টাকা ধ্বংস করার জন্য তাঁকে বিশ্রীভাবে অপমান করেন। সর্বসমক্ষে সেই অপমান তিনি আর মেনে নিতে পারেননি। তাই এবার ‘কৃপণ’ স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন ওই যুবতী। আর কিছুদিন পর সেই বিচ্ছেদের মামলার শুনানি শুরু হবে মিশরের আদালতে।