মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল সারি দেওয়া মমি, ১৩টা সোনার জিভ
এই জায়গায় আগে কিছুই পাওয়া যায়নি। এই প্রথম এখানে মাটির তলায় মিলল সারি দেওয়া মমি। পাওয়া গেল ১৩টা সোনার জিভ সহ নানা জিনিস। মিলল কঙ্কালও।
মমি বললেই যে জায়গার নামটা সকলের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটা মিশর। মিশর নামটার সঙ্গে মমি আর পিরামিড ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সেই মমির দেশের নানা জায়গায় পাওয়া গেছে ত্রিকোণ পিরামিডের তলায় থাকা সমাধিক্ষেত্র।
তবে মিশরের আল বানাসা নামে জায়গায় এই মমির কখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেখানেই একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজ চালাচ্ছিল মিশর ও স্পেনের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি যৌথ দল। তারাই মাটির তলা থেকে অবশেষে পিরামিডের খোঁজ পায়।
সেখানে রয়েছে সারি দিয়ে একের পর এক মমি। এতগুলো মমি একসঙ্গে পাওয়াটাও একটা বড় আবিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
শুধু মমিই নয়, সেই সঙ্গে মাটির তলা থেকে পাওয়া গিয়েছে অনেক কঙ্কাল। পাওয়া গিয়েছে অনেকগুলি কফিন, প্রচুর শিল্প সামগ্রি, ১৩টি সোনার জিভ, সোনার নখ সহ নানা কিছু। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন এটা আদপে একটা গণ কবরস্থান।
আল বানাসা নামে জায়গায় এই প্রথম কোনও প্রাচীন মানবদেহ উদ্ধার হল। ফলে মিশরের ইতিহাসে আরও একটা নতুন অধ্যায় যোগ করল আল বানাসা-র এই প্রত্ন নিদর্শন।
এটি টলেমিক যুগের বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাঁদের বিশ্বাস আল বানাসা-র এই খোঁজ ওই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে আরও পরিস্কার করে জানতে সাহায্য করবে। জানা যাবে টলেমিক যুগে আল বানাসায় কি ধরনের ধর্মীয় রীতি আচার মেনে চলা হত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা