World

রাজমুকুটে সজ্জিতা রানি, বিশেষ শিরস্ত্রাণে রাজা, পাঁচিল থেকে উদ্ধার দুষ্প্রাপ্য ইতিহাস

একটা যুগ লুকিয়ে ছিল দেওয়ালের পিছনে যা উদ্ধার হওয়াটা ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করল। এতকিছু যে দেওয়ালের পিছনে লুকিয়ে ছিল তা ভাবতেও পারেননি কেউ।

একটি উপাসনা স্থল। তার দক্ষিণ দিক পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। সেই পাঁচিলের দেওয়াল আর পাঁচটা দেওয়ালের মত দেখতে হলেও তার মধ্যে যে এমন এক দুষ্প্রাপ্য ইতিহাস লুকিয়ে আছে তা কারও জানা ছিলনা। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিকরা মন্দিরের পাঁচিলের দেওয়ালের মধ্যে থেকে যা পেয়েছেন তা একটা ইতিহাস বদলে দিতে পারে।

মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরের পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ট্যাপোসিরিস ম্যাগনা টেম্পল কমপ্লেক্স। সেই মন্দিরের দেওয়ালের পিছন থেকে একের পর এক বেরিয়ে এসেছে প্রাচীন নিদর্শন।


টলেমিক যুগের সেই নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে মূর্তি, কয়েন, নানা মাটির তৈরি সামগ্রি, শিল্পকীর্তি। পাওয়া গেছে শ্বেতপাথরের এক রানির মূর্তি। যাঁর মাথায় রাজমুকুট রয়েছে।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন এটা সপ্তম ক্লিওপেট্রার মূর্তি। লাইমস্টোন দিয়ে তৈরি এক রাজার আবক্ষ মূর্তিও পাওয়া গেছে। যাঁর মাথায় রয়েছে ডোরাকাটা শিরস্ত্রাণ। যা ফারাওরা মাথায় পরতেন।


এছাড়া পাওয়া গেছে ৩৩৭টি মুদ্রা। যার ওপর সপ্তম ক্লিওপেট্রার মুখ খোদাই করা রয়েছে। পাওয়া গেছে নানাধরনের মাটির জিনিসপত্র, লম্ফ, খাবার এবং প্রসাধনী রাখার জন্য লাইমস্টোনের তৈরি পাত্র, ব্রোঞ্জের মূর্তি, অনেক তাবিজ।

দেবী হাথরকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া একটি ব্রোঞ্জের আংটিও পাওয়া গিয়েছে দেওয়ালটির পিছন থেকে। যিশুখ্রিস্টের জন্মের পর প্রথম শতকেই এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এই মন্দিরটির কাছে রয়েছে একটি খালও। যা মারিআউট লেক থেকে কেটে আনা জলে পুষ্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button