গিজার পিরামিডের তলায় রয়েছে লুকোনো শহর, দাবি ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত
গিজার পিরামিডের তলায় অনেক গভীর পর্যন্ত বিভিন্ন নির্মাণের খোঁজ পেলেন গবেষকেরা। অনেকের দাবি, পিরামিডের তলায় রয়েছে বিশাল শহর। নতুন দাবি ঘিরে রহস্য ঘনীভূত।

মিশরে ঐতিহাসিক পিরামিডের তলায় খননকাজ হয়না। তাই খুঁড়ে দেখা সম্ভব নয়। তবে বিশেষ রাডারের মাধ্যমে একদল গবেষক গিজার খাফরে পিরামিডের তলায় এক বিশাল স্থাপত্যের খোঁজ পেয়েছেন।
ইতালির এই গবেষকেরা পিরামিডের তলায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের নির্মাণের খোঁজ পেয়েছেন অতি ক্ষমতাশালী রাডারের সাহায্যে। সেখানে একাধিক গোলাকার চোঙের মত স্থাপত্য তাঁদের আরও নজর কেড়েছে।
বিশাল সেই পাতকুয়োর মত স্থাপত্যের একদম তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য তার গা দিয়ে ঘোরানো সিঁড়িও রয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। এমনকি কয়েকজন গবেষকের ধারনা মাটির তলার কম্পনকে কাজে লাগিয়ে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত!
অনেকে আবার বিশাল জায়গা জুড়ে পিরামিডের তলার এই স্থাপত্যকে একটি শহর বলে ব্যাখ্যা করছেন। যা পিরামিডের তলায় ছিল। প্রসঙ্গত গিজার ৩টি পিরামিডের দ্বিতীয় বৃহত্তমটি হল ফারাও খাফরে-র পিরামিড।
এই আবিষ্কার কিন্তু সম্পূর্ণ সঠিক প্রমাণিত হলে পিরামিড সম্বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ধারনাই বদলে যেতে পারে। এমনকি বদলে যেতে পারে পিরামিড কেবল রাজা ও বিত্তবান মানুষের জন্যই ছিল, এমন ধারনাও।
তবে এই দাবি ঘিরে কিছু প্রশ্নও উঠেছে। মাটির এতটা নিচ পর্যন্ত সত্যিই স্থাপত্য রয়েছে একথা মানতে চাইছেন না একাংশের গবেষক। কিন্তু রহস্যটা তৈরি হয়ে গেল।
গিজার পিরামিডের তলায় রাডারে পাওয়া এই স্থাপত্য আসলে কি বা সত্যিই সেটা কতটা নিচ পর্যন্ত রয়েছে, কেন তৈরি হয়েছিল, এসবই এখন নতুন রহস্যের জন্ম দিল।