ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন
শুক্রবার বিহার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৩ দিনে নেওয়া হবে ভোট।
নয়াদিল্লি : করোনা এ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর বড় নির্বাচন এই প্রথম হতে চলেছে। যা তার সময়েই হচ্ছে। করোনার জন্য ভোটের সময়ে কোনও ফারাক পড়েনি। নভেম্বরেই বিহারে নির্বাচন হবে বলে স্থির ছিল। হলও তাই।
করোনা বিহার ভোটকে পিছিয়ে দিতে পারেনি। শুক্রবার বিহার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ হবে ৩ দিনে। তবে এত বড় নির্বাচন এ দেশে কিন্তু করোনা আবহে হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিহারে ভোট গ্রহণ হবে ৩ দফায়। ২৮ অক্টোবর হবে প্রথম দফার ভোট। ঠিক দুর্গাপুজো শেষ করেই হবে নির্বাচন। পরের দফার ভোট হবে ৩ নভেম্বর। তৃতীয় ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে ৭ নভেম্বর। ১০ নভেম্বর হবে ভোটগণনা। ওইদিনই ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ভোটের মুখে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে সামনে রেখে এবার অবশ্য প্রচারে পালে হাওয়া পেয়েছে বিরোধীরা। শুক্রবার বিহারে ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। নেতৃত্বে ছিলেন লালু পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
কৃষি বিল ছাড়াও বিহারের বন্যা, কৃষকবিরোধী সরকার, করোনা রুখতে ব্যর্থতার মত ইস্যুকে সামনে রাখতে চলেছে তেজস্বীর দল। বিহারে কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।
দেশ জুড়েই এদিন কৃষি বিলের প্রতিবাদে আন্দোলন জমাট বেঁধেছে। রেল রোকো চলছে। অনেক রাস্তা অবরোধ করেছেন কৃষকরা। এদিকে বিহারে এবারও জেডিইউ-বিজেপি জোটের ট্রাম্প কার্ড উন্নয়ন। জোটের সঙ্গে রয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিও।
বিহার ভোটে নীতীশ কুমার সরকার এবারও বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভোটের ময়দানে নামছে। ফলে কৃষি বিল নিয়ে নীতীশের অবস্থান বিজেপির তরফেই থাকতে হবে। এখানেই ভোটের ময়দানে ফায়দা তোলার চেষ্টা চালানোর সুযোগ পাবে বিরোধীরা।
বিহারে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা কার্যত করোনার মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বার্তা দিয়েছেন।
এদিকে এবার বিহার ভোটের দিনক্ষণ এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে তা দুর্গাপুজোর পরই শুরু হচ্ছে। আর শেষ হচ্ছে দিওয়ালীর আগে। ২৬ অক্টোবর দেশ জুড়ে পালিত হবে বিজয়াদশমী বা দশেরা। আর তার ঠিক ২ দিন পরই বিহারে নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। বিহারে ২৪৩টি বিধানসভা আসন রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা