ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বেশ বড় ব্যবধানেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন-কে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণপন্থী পেন পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট। মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ মাক্রোঁ হলেন ফ্রান্সের কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট। মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন তিনি।
ওঁলাদের শাসনকালে ফ্রান্স বারবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। কবিতার শহরে ঘটেছে রক্তপাত। শান্তিপূর্ণ ফ্রান্স ক্রমশ অশান্তির আগুনে পুড়েছে। ফলে ফ্রান্সের আম জনতা চাইছেন নতুন সরকার তাঁদের এসব থেকে মুক্ত করে শান্তি দিক। দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করে ফের পুরনো ফ্রান্স তাঁদের ফিরিয়ে দিক। এটা অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফ্রান্সও গাওনা গাইতে শুরু করেছিল। পেন তো প্রচারেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় এলে ইইউ থেকে সরে আসবে ফ্রান্স। ব্রিটেনের পর ফ্রান্সও সরে গেলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য সেটা বড় ধাক্কা হত। হয়তো ভাঙার রাস্তাই আরও প্রশস্ত হত। কিন্তু সেদিক থেকে কার্যতই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন ইইউ-র অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলি। কারণ মাক্রোঁ চাইছেন ইউরোপকে এককাট্টা করতে।
মাক্রোঁ-এর জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। অনেক আশা নিয়ে এক যুবা প্রেসিডেন্টের হাতে দেশের শাসনভার ছেড়েছে ফ্রান্স। সেই ভরসা রক্ষা করে লড়াই উৎরনোই এখন মাক্রোঁ-এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।