করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রেহাই দিল না প্রেসিডেন্টকেও
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ফ্রান্সে হানা দেওয়ার পর ফের সেখানে লকডাউনে কড়াকড়ি হয়। এখন ক্রমে লকডাউন নিয়ম শিথিল হতে শুরু করেছে। তারমধ্যেই প্রেসিডেন্টকে কাবু করল করোনা।
প্যারিস : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ইউরোপে আছড়ে পড়বে তা গত জুলাই, অগাস্ট মাসেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। হয়ও তাই। ব্রিটেন, রাশিয়া, স্পেন, ফ্রান্স সর্বত্রই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গত ২ মাসে। ফলে ফের নতুন করে তারা লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়।
জার্মানিতে তো ২ দিন হল লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। ফ্রান্সে আগেই লকডাউন করা হয়েছিল। অক্টোবরের শেষেই। এখন বরং ফের করোনা সংক্রমণ সামান্য কমতে শুরু করায় সেখানে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়েছে। আপাতত রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন থাকছে।
ফ্রান্সে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে বহু মানুষ নতুন করে সংক্রমণের শিকার হতে শুরু করেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম। স্বয়ং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ।
৪২ বছরের এমানুয়েলের করোনা পজিটিভ এসেছে। ফলে তিনি দেশের করোনা বিধি মেনে ৭ দিনের জন্য আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা।
কীভাবে সংক্রমণের শিকার হলেন তিনি? আপাতত সেই খোঁজ না পেলেও প্রেসিডেন্টের ধারেকাছে এর মধ্যে যাঁরাই এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তাঁদের কারও করোনা ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাছাড়া এরমধ্যে যাঁরাই মাক্রোঁর কাছে এসেছিলেন তাঁদের করোনা পরীক্ষার জন্যও বলা হয়েছে।
বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনেতাই গত ১০ মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ সংক্রমণের শিকার হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ৭ জুন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো আক্রান্ত হন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের করোনা ধরা পড়ার ঠিক ২ দিন পর বলিভিয়ার প্রাক্তন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট করোনার শিকার হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় স্পেনের রাজকন্যার। তিনি করোনায় মারা যান।
জুলাইতে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট এবং সেপ্টেম্বরে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্টও সংক্রমণের শিকার হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা