অকালে শেষ সঙ্গীতশিল্পী কেকে, সমালোচনার ঝড়ের মুখে রূপঙ্কর বাগচি
সোমবারই সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র বিরুদ্ধে মুখে খুলেছিলেন তিনি। আর মঙ্গলবারই কলকাতায় মৃত্যু হল কেকে-র। যার পর সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচি সমালোচনার ঝড়ে কোণঠাসা।
ছিল গুরুদাস কলেজের বাৎসরিক অনুষ্ঠান। নজরুল মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন বিখ্যাত গায়ক কেকে। কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ আসল নাম হলেও তাঁকে সকলে চেনেন কেকে বলেই। তাঁর গাওয়া পল আজও মানুষকে নাড়া দেয়। শিহরিত করে।
একের পর এক হিট গান গেয়ে সাফল্যের চূড়ায় জায়গা করে নেওয়া কেকে-র জনপ্রিয়তাও ছিল আকাশ ছোঁয়া। সেই সঙ্গীতশিল্পী নজরুল মঞ্চে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ বোধ করেন। হোটেলে ফিরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা কেকে-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যে খবরটা কার্যত কেউ বিশ্বাস করেই উঠতে পারছিলেন না। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে এমন কণ্ঠ যে অকালে হারিয়ে যেতে পারে তা মেনে নেওয়া কঠিন হয়েছে সকলের জন্য। চোখ জলে ভরেছে অগুন্তি মানুষের।
এদিকে মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কেকে-র অনুষ্ঠানের আগে গত সোমবার সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচি কেকে-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। রূপঙ্কর দাবি করেন, তিনি, এমনকি তাঁর সমকক্ষ বাংলার গায়ক গায়িকারা সকলেই কেকে-র চেয়ে ভাল গান করতে পারেন।
তখনও রূপঙ্করের সমালোচনা নিয়ে হইচই শুরু হয়নি। কিন্তু আগুনে ঘৃতাহুতিটা দিয়ে দেয় কেকে-র মঙ্গলবার অকাল প্রয়াণ। কেকে-র মৃত্যু শোকের সঙ্গে ক্ষোভের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে।
কেকে-র মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে তাঁর গান করার ক্ষমতাকে ছোট করে কার্যত কেকে-র অসংখ্য গুণগ্রাহীর সমালোচনার মুখে পড়েন রূপঙ্কর। আছড়ে পড়তে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়। যা অব্যাহত।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেকে-র দেহ রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখার পর তাঁকে গান স্যালুট প্রদান করা হবে। কলকাতায় এসে তাঁর মৃত্যুতে বঙ্গবাসী শোকস্তব্ধ। সকলেই সম্মান জানাচ্ছেন কেকে-কে। যার ফলে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুরও চড়েছে।