১৫০-এ বন্দেমাতরমকে কুর্নিশ জানিয়ে রাজামৌলির ছাত্রের হাতে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ এবার পাড়ি দিল দক্ষিণে। আনন্দমঠ তৈরির গুরুদায়িত্ব হাতে তুলে নিলেন বাহুবলী খ্যাত রাজামৌলির ছাত্র।
বাংলা ও হিন্দি ভাষায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাস চলচ্চিত্রের রূপ পেয়েছিল। এবার সেই আনন্দমঠ তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। বাহুবলীখ্যাত পরিচালক এসএস রাজামৌলির ছাত্র হিসাবে পরিচিত অশ্বিন গঙ্গারাজু এই সিনেমা তৈরির গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
সিনেমার একটি মোশন বুধবার মুক্তি পেয়েছে। পরিচালক স্বীকার করে নিয়েছেন এই উপন্যাসকে চলচ্চিত্রের রূপ দেওয়া তাঁর কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।
বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমার দক্ষিণে নাম হচ্ছে ১৭৭০, কেন হঠাৎ বাংলার এক সাহিত্যিকের উপন্যাস নিয়ে সিনেমা? তার পিছনেও রয়েছে একটা বিশাল কারণ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর আনন্দমঠ উপন্যাসেই প্রথম বন্দেমাতরম গানটি লেখেন। যা পরে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মন্ত্রে পরিণত হয়।
পরিচালক থেকে প্রযোজক সকলেই মেনে নিয়েছেন যে তাঁরা ছোট থেকে স্কুলে পড়ে বড় হয়েছেন বন্দেমাতরম শুনে, বন্দেমাতরম গেয়ে। সেই বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে।
বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর পূর্তিকে সম্মান জানাতেই আনন্দমঠকে বেছে নেওয়া। যাকে চলচ্চিত্রের রূপ দিতে তাকে সিনেমার ভাষায় লিখেছেন বিজয়েন্দ্র প্রসাদ।
সিনেমাটি তৈরি করতে বিখ্যাত লেখক ও পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের সাহায্য নিচ্ছেন পরিচালক অশ্বিন। সিনেমাটি ৬টি ভাষায় মুক্তি পাবে।
তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ও কন্নড়ের মত দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় তো বটেই, সেইসঙ্গে হিন্দি ও বাংলাতেও এই সিনেমা মুক্তি পাবে। আপাতত এর কাস্টিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা