Entertainment

আরডি বর্মণ আর গুলজারের সারাক্ষণ ঝগড়া লেগে থাকত, কারণটা বেশ মজাদার

সুরের জগতে একজন আজও উজ্জ্বলতম নক্ষত্র, অন্যজন গানের কথার যাদুকর। ২ জনে উপহার দিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী গান। অথচ সারাক্ষণ তাঁদের দুজনের ঝগড়া লেগেই থাকত।

ভারতীয় সিনেমায় যদি কালজয়ী গানের তালিকা নিয়ে বসা হয় তাহলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি সংখ্যাটার পাশে লেখা থাকবে রাহুল দেব বর্মণের নাম। যিনি বলিউডে পঞ্চমদা নামেই বিখ্যাত।

সেই প্রবাদপ্রতিম সুরকার আরডি বর্মণের আবার অনেক কালজয়ী সুর মানুষের মন জয় করেছে গুলজারের কলমের গুণে। গুলজারের লেখা গানে সুর বসেছে পঞ্চমের। তারপর তা মানুষের মন প্রাণ জয় করে নিতে সময় নেয়নি। অথচ যাঁদের যুগলবন্দি বলিউডকে অগুন্তি গুনগুন করার মত গান উপহার দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।


আরডি বর্মণের এক পুরনো ভিডিওতে তিনি ঝগড়ার কারণও জানিয়েছিলেন। পঞ্চম জানান, গুলজারের লেখা অনেক সময় তিনি বুঝতেই পারতেন না। অনেক কথার মানে বোঝা যেত না। ছন্দও বোঝা যেত না।

গান লেখা হলে যে ছন্দ সাধারণভাবে অন্য গীতিকারদের ক্ষেত্রে দেখা যেত, গুলজার সেই দলে পড়তেন না। তিনি এমন সব ছন্দ বানাতেন যে তাতে সুর বসানো ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ।


আরডি বর্মণ এটা মেনে নিয়েছেন যে সবচেয়ে কষ্ট হত গুলজারের কথায় সুর বসাতে। ফলে তা নিয়ে প্রায়ই দুজনের ঝগড়া লেগে যেত। ‘আঁধি’ সিনেমার একটি গানে সুর দিতে গিয়ে আরডি বর্মণ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এ কথায় সুর বসাতে পারবেননা।

গুলজারের সঙ্গে প্রাথমিক ঝগড়ার পর দুজনে একসঙ্গে বসেন। তারপর অনেক লড়াই করে গানের মুখরাতে সুর বসানো হয়। আরডি জানিয়ে দেন এবার গুলজারকে ঠিক এই ছন্দ ধরে রেখেই গানের অন্তরা লিখতে হবে।

গুলজার বাড়ি ফিরেও সেটা করে উঠতে পারছিলেননা। তিনি ফোন করে তা পঞ্চমদাকে জানানও। তারপরও ঠিকই লেখা হত। সুরও বসত। আর তৈরি হত অসামান্য সব গান। সেকথা আরডি বর্মণ নিজেই জানিয়েছেন।

একবার তো আশা ভোঁসলে রাহুল দেব বর্মণ এবং গুলজার দুজনকেই একটি গানে রক্ষা করেন। ‘ইজাজত’ সিনেমার একটি হিট গান ‘মেরা কুছ সামান, তুমাহরে পাস পড়া হ্যায়’। সে গানে কিছুতেই সুর বসাতে পারছেন না আরডি বর্মণ। কিছুই তাঁর পছন্দ হচ্ছেনা। গুলজারের সঙ্গে খিটিমিটিও হচ্ছে।

এই সময় ওই গানের মুখরাটি নিজের মত করে একটা গেয়ে ফেলেন আশা ভোঁসলে। সেটা শুনেই পঞ্চমদার পছন্দ হয়ে যায়। গান রেকর্ড হয়। তারপর তো সে গান একটা ইতিহাস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button