লতা মঙ্গেশকরকে সামনে রেখে ১৪৩৬-এ বৃদ্ধের ঝুলিতে অনবদ্য স্বীকৃতি
এক অনন্য স্বীকৃতি অর্জন করে নিলেন এক বৃদ্ধ। আর তা সম্ভব হল কেবলমাত্র কালজয়ী গায়িকা লতা মঙ্গেশকরকে সামনে রেখে।
লতা মঙ্গেশকরের কাছে তিনি গিয়েছিলেন। খুব ইচ্ছে ছিল সাক্ষাতের। তবে সাক্ষাৎ হয়নি। তিনি তাঁর সৃষ্টি লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারির হাতে দেন। চেয়েছিলেন একটা সই তার ওপর করে দিন গায়িকা।
যদিও গায়িকা সেক্রেটারির মাধ্যমে জানিয়ে দেন তিনি সই করবেননা। কারণ তাতে ওই ব্যক্তির সৃষ্টির সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তারপর থেকে বৃদ্ধ রামকৃপাল নামদেব আর গায়িকার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেননি। তবে তাঁর কণ্ঠকে সম্মান জানিয়ে গেছেন চিরকাল।
লতা মঙ্গেশকরের গানে তিনি এতটাই বিমোহিত ছিলেন যে একজন অপেশাদার চিত্রকর হয়েও তিনি একের পর এক গায়িকার ছবি এঁকে গেছেন। এমনই এক ছবি নিয়ে গায়িকার কাছে গিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর সঙ্গে দেখা করা বা সই করার পথে না গেলেও সেদিন গায়িকা কিন্তু রামকৃপালের আঁকা ছবির তারিফ করেছিলেন। সেক্রেটারিকে দিয়ে সেকথা বলেও পাঠান। এটাই রামকৃপালের কাছে অনেক বড় পাওনা হয়ে থেকে গিয়েছিল।
এবার তিনি গায়িকার এক বিশাল ছবি তৈরি করেছেন। যে ছবির মধ্যে জায়গা পেয়েছে তাঁর আঁকা গায়িকার ১ হাজার ৪৩৬টি ছবি। যা এবার জায়গা পেল লিমকা বুক অফ রেকর্ডস-এ।
এছাড়া এশিয়া বুক এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এও জায়গা পেয়েছে রামকৃপালের এই অনবদ্য সৃষ্টি। জব্বলপুরের বাসিন্দা রামকৃপাল নামদেব এই স্বীকৃতি পেয়ে আপ্লুত।
একজন অপেশাদার চিত্রকর হয়েও তাঁর আঁকা লতা মঙ্গেশকরের বিভিন্ন মুহুর্তের ছবি চিত্র লতিকা নাম দিয়ে সিরিজ আকারে প্রদর্শিত হয়েছে মুম্বইয়ের জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারি, দিল্লির ললিত কলা অ্যাকাডেমি সহ প্রথমসারির কলা ক্ষেত্রে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা