বারবনিতা ও ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে ১০০ বছর ধরে চলা নাটকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা
এ নাটক পার করেছে ১০০ বছর। শতবর্ষ ধরে এই নাটক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয়েছে। শতবর্ষ পার এই নাটকে এবার সরকারি নির্দেশে যবনিকা পতন হল।
১৯২০ সালে লেখা হয়েছিল এই নাটক। নাটকটি দাঁড়িয়ে আছে এক বারবনিতা ও এক ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে। তাদের কেন্দ্র করেই নাটকে পরতে পরতে এসেছে সামাজিক বার্তা।
নাটকে যে ব্যবসায়ীকে দেখানো হয় তার মুখ কালো, তার মুখ থেকে খারাপ কথা বার হয়, খারাপ চরিত্রের মানুষ তিনি। হেন বদগুণ নেই যা তার নেই।
চিন্তামণি নামে ওই ব্যবসায়ীর যাতায়াত বারবনিতাদের পাড়াতেও। সেখানে সুব্বি শেঠি নামে এক বারবনিতার সঙ্গে চিন্তামণির সম্পর্ক রয়েছে।
১৯২০ সালে কল্লাকুরি নারায়ণ রাও নামে এক সমাজকর্মী এই নাটকটি রচনা করেন। যেখানে অন্ধ্রপ্রদেশের সেই সময়কার ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত নিচ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
দেখানো হয়েছে তাঁদের সঙ্গে বারবনিতাদের সম্পর্ক। যা কিন্তু আদপে একটি সামাজিক বার্তা বহন করে। ফলে অন্য জায়গা তো বটেই এমনকি অনেক মন্দিরের অনুষ্ঠানেও এই নাটক মঞ্চস্থ হয়ে এসেছে গত ১০০ বছর ধরে। বিভিন্ন দল এই নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের আর্য বৈশ্য সম্প্রদায় সেখানকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। এরা সম্প্রতি এই নাটক নিয়ে প্রবল আপত্তি তোলে। তাদের দাবি, এই নাটকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে অত্যন্ত ছোট করে দেখানো হয়েছে। যা তারা মেনে নিতে পারছেনা।
১০০ বর্ষ পার করা ওই নাটক অবিলম্বে যেন বন্ধ করা হয় সেই মর্মে একটি চিঠি ৪ মাস আগেই তারা অন্ধ্র সরকারকে দেয়। গত ১৭ জানুয়ারি অন্ধ্র সরকার ঘোষণা করে এই নাটক আর প্রদর্শিত হবে না রাজ্যে। নাটকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা।
এতে আবার চটেছেন রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতি জগতের মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ যেহেতু অন্ধ্রপ্রদেশের এনডাওমেন্টস ডিপার্টমেন্ট মন্ত্রী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মানুষ তাই তিনি দ্রুত এই পদক্ষেপ করিয়েছেন। শতবর্ষ ধরে চলে আসা একটি নাটকে এভাবে আচমকা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখন অন্ধ্রপ্রদেশে হৈচৈ শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা