রাজা আসলে কার, প্রবল দড়ি টানাটানিতে নামল ২ জাতি
রাজা নিয়ে টানাটানি এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। রাজা কার তাই নিয়ে ২ জাতি আদাজল খেয়ে লেগেছে। ২ পক্ষই প্রমাণ করতে মরিয়া যে রাজা তাদের।
এই দড়ি টানাটানি কবে শুরু হবে সেটাও অনেকের প্রশ্ন ছিল। তা সে লড়াই তো শুরু হয়ে গেছে। আর বেশ জোড়াল ভাবেই শুরু হয়েছে। যে লড়াই এখন পৌঁছে গেছে দিল্লিতেও।
আগামী ৩ জুন মুক্তি পেতে চলেছে পৃথ্বীরাজ নামে একটি সিনেমা। যা বিখ্যাত রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবনকে সামনে রেখে তৈরি হয়েছে।
নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। রাজস্থানের এই রাজার কথা ইতিহাস বন্দিত। এখন সেই রাজা কোন জাতির ছিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল দড়ি টানাটানি।
একদিকে রাজপুতরা বলছেন পৃথ্বীরাজ ছিলেন রাজপুত রাজা। অন্যদিকে গুজ্জররা দাবি করছেন রাজপুত নন, পৃথ্বীরাজ ছিলেন গুজ্জর রাজা।
রাজা কার তা নিয়ে এই ঝগড়ায় এবার খোলাখুলি যুক্তি যুদ্ধের ডাক দিয়েছে রাজপুতরা। তারা খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছে গুজ্জররা পারলে দিল্লিতে তাদের সঙ্গে একটি যুক্তিতর্কে অংশ নিক। সেখানেই তারা প্রমাণ করে দেবে পৃথ্বীরাজ ছিলেন রাজপুত রাজা।
অন্যদিকে গুজ্জরদের সংগঠন আবার সোজা চিঠি পাঠিয়ে সিবিএসই বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছে তাদের রেকর্ডে কি রয়েছে? পৃথ্বীরাজ গুজ্জর ছিলেন, নাকি রাজপুত ছিলেন?
গুজ্জররা আরও দাবি করেছে যে, পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নিয়ে লেখা ব্রজ ভাষার পৃথ্বীরাজ রাসো-তে পৃথ্বীরাজের বাবাকে একজন গুজ্জর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার রাজপুত করণী সেনার দাবি, পৃথ্বীরাজ চৌহানের বংশধররা এখনও আজমেরে বসবাস করেন। আর তাদের কাছে পৃথ্বীরাজ চৌহান যে রাজপুত রাজা ছিলেন তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।
এই লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী হবে তা সময় বলে দেবে। তবে নিন্দুকেরা বলছেন, পাল্লা ভারী যারই হোক একটি পাল্লা ভারী হচ্ছেই। তা হল সিনেমাটির। যেটি আসতে চলেছে। এভাবে সিনেমার নিঃশব্দে প্রচার কিন্তু হয়েই চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা