মহাবিশ্বের অন্ধকারে রঙিন ছোঁয়া, নতুন ইতিহাস লিখল ইউক্লিড
মহাশূন্যে শুধুই অন্ধকার। তারই মাঝে কিছু দেখা যায়। কিছু যায়না। সেই মহাশূন্যের গায়ে রঙয়ের ছিটে দিল ইউক্লিড। এই প্রথম।
হাজার হাজার নক্ষত্রপুঞ্জ একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। অন্ধকারের বুকে আলোর ছিটের মত। ২টি নতুন নক্ষত্রপুঞ্জকে তাদের মধ্যে বেশি স্পষ্ট করে দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি নক্ষত্র আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে একত্রে অবস্থান করছে। যাকে বলা হচ্ছে গ্লোবিউলার ক্লাস্টার।
আর দেখা যাচ্ছে নেবুলা। মানে নতুন সৃষ্টি হওয়া নক্ষত্রের কারণে সৃষ্ট প্রচুর গ্যাস ও ধুলোর কুণ্ডলী। এসব একসঙ্গে দৃশ্যমান। এই ছবিই তুলে ফেলল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র ডার্ক ইউনিভার্স প্রোব ইউক্লিড মিশন।
যে ৫টি ছবি ইউক্লিড পাঠিয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ রঙিন। এই প্রথম ডার্ক ইউনিভার্সের রঙিন ছবি দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা।
এই প্রথম রঙের ছোঁয়া লাগল এক নিকষ কালো অন্ধকার অনন্ত মহাশূন্যের ছবিতে। এটা অবশ্যই একটা বড় পদক্ষেপ। রঙিন ছবি বিজ্ঞানীদেরও আরও সহজে কাজ করার পথ মসৃণ করে দিল।
মহাশূন্যের রয়েছে ২টি দিক। একটি ডার্ক ম্যাটার এবং অন্যটি ডার্ক এনার্জি। ডার্ক ম্যাটার সবসময় মহাবিশ্বের নক্ষত্রপুঞ্জগুলিকে একত্রে ধরে রাখার চেষ্টা করে। সেগুলি যে গোল গোল ঘুরছে তার গতি নির্ভর করে এই একত্রে টেনে রাখার মধ্যে।
আর ডার্ক এনার্জি মহাবিশ্বের আরও ব্যাপ্তি সুনিশ্চিত করতে থাকে। আর ছড়িয়ে দিতে থাকে মহাবিশ্বকে। ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার, এই ২টি বিষয়কে এই প্রথম রঙিন ছবিতে একসঙ্গে পর্যালোচনা করার সুযোগ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যা অবশ্যই মহাকাশ বিজ্ঞানের বড় প্রাপ্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা